‘নাম উল্লেখ’ না করেই অপু বিশ্বাসকে ধুয়ে দিলেন বুবলী

ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ দুই নায়িকা অপু বিশ্বাস ও বুবলী। দুজনেই সংসার করেছেন সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে। এজন্য তাদের সম্পর্কটা মোটেও ভালো নয়। প্রায় সময়ই একে অন্যেকে ইঙ্গিত করে অনেক কিছুই বলেন। গত কয়েক বছর ধরেই মিডিয়াপাড়ায় বিষয়টি ঘটলেও সম্প্রতি এই দুজনের সম্পর্কের তিক্ততা আরও প্রকট হয়েছে।তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় অপু বিশ্বাসের নাম উল্লেখ না করেই রীতিমতো তাকে ধুয়ে দিয়েছেন বুবলী। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে বুবলীকে ইঙ্গিত করে অপু বিশ্বাস কিছু কথা বলেছেন। সেই কথার জবাবেই বোমা ফাটিয়েছেন বুবলী।বুবলী তার পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, কারও নোংরা ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে আমাকে নিয়ে বা আমার ব্যক্তিজীবন নিয়ে কেউ কোনো বেফাঁস মন্তব্য করলে বা কোনো ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলার চেষ্টা করলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে আমি দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কারণ, আমি দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’

ঢাকাই ছবির এই নায়িকা লেখেন, ‘কিছুদিন পরপর যে ব্যক্তি এসব নোংরা খেলা শুরু করে বা যাদের দিয়ে করায়, তাদের সমস্ত কিছু সোশ্যাল মিডিয়া, পত্রিকা এবং ইউটিউবে রয়েছে, যা ডকুমেন্ট হিসেবে যথেষ্ট এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। এসব নোংরামি পাত্তা দেওয়ার রুচি থাকে না বলেই এসব নিয়ে আমার কথা বলা হয় না। কিন্তু চুপ থাকাকে যদি সে বা তারা সুযোগ পাওয়া মনে করে, তাহলে তা হবে তাদের চরম ভুল। আশপাশে হাজার কিছু হলেও দিন শেষে আমাকে নিয়েই এসব ব্যক্তির ব্যস্ততা, এমনকি নাওয়া-খাওয়া- সব থাকে আমার চিন্তায়। এদের রেসপন্স করতেও রুচিতে বাধে।’

এরপর তিনি আরও লেখেন, আর হ্যা! আমার পারিবারিক শিক্ষা আমাকে কখনই দুমুখো সাপের আচরণ করতে শেখায়নি, সুবিধাবাদী হতে শেখায়নি, ধর্ম নিয়ে একেকবার একেক মিথ্যা কথা বলে সাধারণ জনগণের আবেগ নিয়ে খেলা করে বোকা বানাতে শেখায়নি, গিরগিটির মতো রং বদলাতে শেখায়নি, কাউকে ছুরি মেরে পরক্ষণেই নিজের কোনো সুবিধা হবে ভেবে সেই ছুরি মারা জায়গায় ব্যান্ডেজ করতে শেখায়নি, বিভিন্ন মানুষকে নিয়ে নানা টক শোতে অপমান করে কথা বলে নির্লজ্জের মতো হাসতে শেখায়নি, মানুষকে অসম্মান করতে শেখায়নি, হিংসা শেখায়নি, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিতে শেখায়নি, কাউকে নানা অপমান করে আবার নিজের স্বার্থে সময় বুঝে প্রশংসা করতে করতে মুখে ফেনা তুলতে শেখায়নি, বাস্তব জীবনেও অভিনয় করতে শেখায়নি- তাই আমি হয়তো আপনাদের অনেকের সাথে ইনিয়ে বিনিয়ে নাটক করতে পারি না।

এরপর বুবলী লেখেন, ‘আর হ্যা! আমার পারিবারিক শিক্ষা আমাকে কখনই দুমুখো সাপের আচরণ করতে শেখায় নি, সুবিধাবাদী হতে শেখায়নি, ধর্ম নিয়ে একেকবার একেক মিথ্যা কথা বলে সাধারণ জনগণের আবেগ নিয়ে খেলা করে বোকা বানাতে শেখায় নি, গিরগিটির মতো রং বদলাতে শেখায়নি, কাউকে ছুরি মেরে পরক্ষণেই নিজের কোনো সুবিধা হবে ভেবে সেই ছুরি মারা জায়গায় ব্যান্ডেজ করতে শেখায় নি, বিভিন্ন মানুষকে নিয়ে নানান টক শোতে অপমান করে কথা বলে নির্লজ্জের মতো হাসতে শেখায়নি, মানুষকে অসম্মান করতে শেখায়নি, হিংসা শেখায় নি, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিতে শেখায় নি, কাউকে নানান অপমান করে আবার নিজের স্বার্থে সময় বুঝে প্রশংসা করতে করতে মুখে ফেনা তুলতে শেখায় নি, বাস্তব জীবনেও অভিনয় করতে শেখায়নি, তাই আমি হয়তো আপনাদের অনেকের সাথে ইনিয়ে বিনিয়ে নাটক করতে পারিনা।’

এই চিত্রনায়িকা আরও লেখেন, ‘কিন্তু আমি এসব না শিখতে পারার জন্য গর্বিত। কারণ এসব যে পারে সে অনায়াসেই লিজেন্ড শাবানা ম্যামের মতো এতো সিনিয়র ব্যক্তিত্বকে নিয়ে অপমানজনক বেফাঁস মন্তব্য করে বসতে পারে, কঠোর পরিশ্রম করে নিজের মতো এগিয়ে যাওয়া নুসরাত ফারিয়াকে নিয়ে অপমান করে কথা বলে মুখটাকে বিশ্রী করে ব্যঙ্গ করতে পারে, ভালো মনের মানুষ বর্ষা আপুকে নিয়ে অপমান জনক কথা বলতে পারে, মাস্টারমেকার পরিচালক শ্রদ্ধেয় মালেক আফসারী স্যারকে নিয়ে অপমান করে কথা বলতে পারে যা কিনা রীতিমতো তার পারিবারিক শিক্ষাকেই উপস্থাপন করে, এ জন্যই বলে ব্যবহারই বংশের পরিচয়।’

তার ছেলেকে নিয়েও সেই ব্যক্তি কটুক্তি করেছেন উল্লেখ করে বুবলী লেখেন, ‘কত বাজে নিচু মানসিকতার হলে সে একজন নিষ্পাপ বাচ্চাকেও কটুক্তি করতে ছাড়েনি, কিছুদিন আগে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে আমার সন্তানের গেট আপ নিয়ে ক্যামেরার সামনে বাদরের মতো মুখ ভেংচি কেটে বাজে মন্তব্য করতে ছাড়েনি। আমি মা হিসেবে ভালোবেসে আমার সন্তানকে নিয়ে কী করব বা আমার সন্তানের ভালোর জন্য কী করব, সেটা সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপনি কে এ নিয়ে কথা বলার?‘সারাক্ষণ নানান মিথ্যা বানোয়াট উসকানিমূলক ব্যক্তি বিষয়ে কথা বলে, অথচ পরে আবার বলবে সে ব্যক্তি বিষয়ে কথা বলে না, সারাক্ষণ মানুষকে ছোট করে কথা বলবে, কিন্তু পরে বলবে সে মানুষকে ছোট করে কথা বলে না! কী অদ্ভুত! একেক সময় একেক রং ধারণ করে মানুষকে ধোঁকা দেয়ার নগ্ন খেলা এসব বহুরুপী চিপ মেন্টালিটির ব্যক্তিই পারে। লজ্জা!’