দেশের প্রেক্ষাগৃহে চলবে বছরে ১০টি হিন্দি সিনেমা, মিলল সম্মতি

আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে শাহরুখ খানের বহুল আলোচিত সিনেমা ‘পাঠান’। আজ রোববার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতীয় সিনেমা মুক্তির বিষয়ে কথা হয়। তার আগে দেশের প্রেক্ষাগৃহে বলিউডের সিনেমা মুক্তির ব্যাপারে একমত হয়েছিল চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯ সংগঠন। তাদের অনেকেই আজ সেখানে ছিলেন।তারা জানান, বাংলাদেশে হিন্দি সিনেমা আনার বিষয়ে এসব সংগঠনের দ্বিমত নেই। আলোচনায় সিদ্ধান্তের মধ্যে আছে প্রতিবছর ১০টি হিন্দি সিনেমা বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে চলবে।

এদিন সম্মিলিত চলচ্চিত্রের পরিষদ নেতৃবৃন্দ ‘নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিদেশি (উপমহাদেশীয় ভাষার) চলচ্চিত্র আমদানি ও মুক্তি প্রসঙ্গে’ শিরোনামে পত্রটি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে হস্তান্তর করেন।

তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার ও সদস্য রিয়াজ, প্রদর্শক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশীদ, সহ-সভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন, প্রযোজক পরিবেশক সমিতির পক্ষে খোরশেদ আলম খসরু ও মোহাম্মদ হোসেন, ফিল্ম ক্লাবের সভাপতি কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া এবং সম্মিলিত চলচ্চিত্রের পরিষদের সদস্য সচিব শাহ আলম কিরণ উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘ কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় কিছু শর্তসাপেক্ষে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভারতীয় হিন্দি ছবি আমদানির ব্যাপারে চলচ্চিত্র অঙ্গণের সবাই একমত হয়েছেন এ জন্য তাদেরকে অভিনন্দন। আমিও নির্দিষ্ট পরিমাণ আমদানির পক্ষে, অবাধ আমদানিতে আমাদের শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অতীতেও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আমার কাছে ভারতীয় হিন্দি ছবি আমদানির দাবি উপস্থাপন করা হয়েছিল, পরে শিল্পী সমিতি আপত্তি জানিয়েছিল। সে কারণে আমি বারবার বলে এসেছি, সব সংগঠন একমত হয়ে বললে তখন আমরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবো। এখন সেটি সম্ভব। প্রস্তাব অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো, বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরেও আনতে হবে।’

ড. হাছান বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আমাদের দেশে আগের তুলনায় সিনেমা বেশি হচ্ছে এবং অনেক সিনেমা বক্স অফিস হিট করছে। কিন্তু এখনও প্রতি সপ্তাহে ভালোভাবে চালানোর মতো সিনেমা সবসময় হচ্ছে না, এটি বাস্তবতা। সেই বাস্তবতার নিরিখে আপনারা সুচিন্তিতভাবে, ভেবে-চিন্তে মতামত দিয়েছেন যে, নির্দিষ্ট পরিমাণ ভারতীয় হিন্দি ছবি যদি আমদানি হয় তাহলে অনেকেই আবার হলমুখী হবে এবং তখন আমাদের বাংলা ছবিও দেখতে যাবে।’