গল্পের প্রয়োজনে নাটক বা সিনেমায় বিভিন্ন দৃশ্য দেখানো হয়ে থাকে। যেমন গল্পের প্রয়োজনে কখনো কখনো বিয়ে পড়ানো হয়। এসব বিয়ে কাল্পনিক। কিন্তু এই কাল্পনিক বিয়েতে ‘কবুল’ উচ্চারণ বন্ধ চেয়ে এবার লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।গত ২৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের
আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান জনস্বার্থে এ নোটিশ পাঠান। এ নিয়ে এরই মধ্যে নাটক-সিনেমা সংশ্লিষ্টরা প্রতিবাদ করেছেন। এ প্রসঙ্গে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানির মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, “নাটক-সিনেমার দৃশ্যে কেন ‘কবুল’ থাকবে না? একটি
মুসলিম সম্প্রদায়ের বিয়েতে ‘কবুল’ থাকতেই হয়। একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের বিয়েতে সাত পাঁক থাকতেই হয়। তা হলে কি সেটাও বন্ধ হবে? অবশ্যই না।” তিনি আরো বলেন, ‘আজকে এটা করা হচ্ছে, দুদিন পর আবার রিট হবে আসসালামু আলাইকুম বলা যাবে না।যা হচ্ছে তা খুব বিব্রতকর। নাট’ক বা সিনেমায় ধর্মের যে সেন্টিমেন্টগুলো আনা হয় সেগুলো অবশ্যই থাকা দরকার। নাটক-সিনেমার দৃশ্যায়নগুলো তো সবই কাল্পনিক। এসব নিয়ে টানাহেঁচড়া করা খুবই বিব্রতকর বলে আমি মনে করি।’
মো. মাহমুদুল হাসানের নোটিশে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে বিভিন্ন সিনেমা, নাট’ক এবং ভিডিওর বিভিন্ন দৃশ্যে বিয়ের দৃশ্যায়নে মুসলিম অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পূরণসহ ‘কবুল’ শব্দ উচ্চারণ করে থাকেন। যার মাধ্যমে ওই মুসলিম অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা মুসলিম আইন (শরিয়ত) অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রী’ হিসেবে গণ্য হবেন।
তাই মুসলিম আইন অনুসারে বিয়ের ক্ষেত্রে সরাসরি মুসলিম আইন (শরিয়ত) প্রয়োগ হবে। এখানে অভিনয়ের যুক্তিতে এই বিয়েকে অস্বীকার করা যাবে না। কারণ অভিনয়ের মধ্যে কেউ মিষ্টি খেলে সে যেমন মিষ্টির স্বাদ অনুভব করবে। অপরদিকে অভিনয়ের মধ্যে কেউ বিষ খেলে সে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হবে।’নোটিশ পাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে সিনেমা, নাটকের বিয়ের দৃশ্যায়নে ‘কবুল’ শব্দ উচ্চারণে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টেরিট দায়ের করা হবে বলে আইনজীবীরা জানান।