দুই সন্তানের জননী চাচিকে নিয়ে ভাতিজা উধাও

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে পরকীয়ার জেরে দুই সন্তানের জননী চাচিকে নিয়ে পালিয়ে গেছে ভাতিজা। এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার চরকুড়া গ্রামে। স্থানীয়রা জানান, চরকুড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী সাত্তার মোল্লার স্ত্রী আঁখি বেগমের সঙ্গে (৪০) সাত্তার মোল্লার ভাতিজা রাজমিস্ত্রি মোতালেবের পরকীয়া সম্পর্ক তৈরি হয়।

বিষয়টি সম্প্রতি জানাজানি হলে আঁখি বেগমের প্রবাসী স্বামী ও শশুরবাড়ীর লোকজন তাকে সংশোধন হওয়ার কথা বলে শাসন করেন। অপরদিকে মোতালেবের পরিবার থেকে আঁখির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করতে বলা হয়। কিন্তু পরকীয়ার এ-সম্পর্ক ভাঙতে নারাজ আঁখি-মোতালেব। এক পর্যায়ে গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে আঁখি ও মোতালেব পালিয়ে যায়। পরদিন মঙ্গলবার সকালে বাড়ীতে আঁখিকে না পেয়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়ী খবর নেয় শশুরবাড়ীতে থাকা একমাত্র দেবর আব্দুল হাই ওরফে মোস্তাফিজুর।

তিনি আরো বলেন, পরে কোথাও কোন খোঁজখবর না পেয়ে অবশেষে পাবনার মুলাডুলিতে মোতালেবের বোন পেয়ারা খাতুনের শশুরবাড়ীতে তাদের দুজনের সন্ধান মেলে। পরে সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে আঁখি বেগমকে তার বাবার বাড়ী পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আঁখি খাতুনের দেবর আব্দুল হাই ওরফে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত মঙ্গলবার সকালে বাড়ীতে ভাবীকে দেখতে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পর মোতালেবের বোনের বাড়ী থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। আমার ভাই মালয়েশিয়া থাকে অন্তত ৩০ বছর হলো। বাড়ীতে ছুটিতে এসে গত ৭/৮ বছর হলো আবার মালয়েশিয়া গেছে। সব গহনা ও টাকা পয়সা ভাবির কাছেই থাকে। ভাবী পালিয়ে যাওয়ার সময় অন্তত ১৭ লক্ষ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।

স্থানীয় শালিসে এসব টাকা ও স্বর্ণালংকার ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও মোতালেবের পরিবার এখন আর ফেরত দিচ্ছে না। একই গ্রামের এরফান মোল্লার ছেলে অভিযুক্ত মোতালেব বলেন, দুই বছরের বেশি সময় হলো আঁখি খাতুনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক। আঁখির স্বামী অর্থাৎ আমার চাচা মালয়েশিয়া না থাকার কারণে আখিঁ একা বাড়ীতে থাকায় এই দুই বছরে আমাদের বহুবার শারিরীক সম্পর্ক হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ আদালতে গিয়ে কাজীর মাধ্যমে আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ে আঁখিকে আমি বিয়ে করেছি। কিন্তু আমার কাছ থেকে আঁখিতে ফেরত নেবার পর অনেক মারধর করে ওকে দিয়ে আমাকে তালাক দিয়েছি। তারপর থেকে আঁখির সঙ্গে আর আমার কোন যোগাযোগ নেই। আর আঁখি আমার সঙ্গে পালিয়ে যাবার সময় ২০ হাজার টাকা নিয়েছিলো, আমি নিয়েছিলাম ১০ হাজার টাকা। আঁখির স্বামী ও শশুরবাড়ীর লোকজনের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. রেজাউল ইসলাম বলেন, চরকুড়া গ্রামে চাচীকে নিয়ে ভাতিজা উধাও, এমন ঘটনা আমার জানা নেই।