তিনটি হৃৎপিণ্ড নিয়ে বেঁচে আছে বি`স্ময়কর এই প্রাণী !

কা’টল ফিশ একটি সামুদ্রিক প্রাণী। এরা প্রাণীজগতের অন্যতম বিস্ময়কর প্রাণী। চতুরতার জন্য এই প্রাণীরা বিশেষভাবে পরিচিত। এরা সে’ফলপো’ডা গোত্রের প্রাণী। এরা আসলে মাছ নয়। এদের বলে মোলা’ক্স বা শামুক জাতীয় প্রাণী। এরা অত্যন্ত নরম দেহের দৈ’ত্যাকৃ’তির প্রাণী। এদের আট’টি হাত রয়েছে।এদের দাঁ’তের সামনে একটি শো’ষক আছে। তারা এই শোষ’কের সাহায্যে তাদের শি’কারটিকে সুরক্ষিত রাখে। এই শো’ষকের আকার সাধারণত ১৫ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

কা’টল ফিশের সমস্ত শরীর ম্যা’ন্টল দিয়ে আবৃত থাকে। ম্যান্টল হলো এক প্রকার বিশেষ থলি। সামনের দিকে মাথা ও টে’ন্টাকল না’মক সরু এবং নরম অঙ্গ ম্যান্টল থেকে বাইরে প্রসারিত হয়। শরীরের গা ঘেঁ’ষে থাকে দুই’টি পা’খনা। এদের দুইটি টে’ন্টাকল রয়েছে।কা’টল ফিশের তিনটি আলাদা আলাদা হৃৎ’পি’ণ্ড থাকে। দুইটি হৃ’ৎপি’ণ্ড কানকোর গোঁ’ড়ায় থাকে। এই দুইটির কাজ হলো সমস্ত দূ’ষিত র’ক্ত’কে পা’ম্প করে কানকোয় নিয়ে যাওয়া। কানকোয় পৌঁছে তাদের দূ’ষি’ত র’ক্ত অ’ক্সিজেন শো’ষণ করে। তারপর সেই র’ক্ত তৃ’তীয় হৃৎ’পিণ্ডে চ’লে যায়।তৃতীয় হৃৎপিণ্ডটি সেখান থেকে র’ক্ত প্রা’ণীটির সারা শরীরের বি’ভিন্ন অ’ঙ্গে স’ঞ্চালিত করে।

এরা গভীর সমুদ্রের প্রাণী। তাই সহজে এদের দেখা যায় না। তবে মাঝে মাঝে জী’বিত অবস্থায় অথবা মৃ’ত্যু’র পর তা’রা সাগরের জোয়ারের সঙ্গে ভেসে উপকূলে আসে। তবে ভাঁ’টার টানে আ’টকে যায় সাগর পা’রের বা’লুকা বে’লায়।সেখানে তারা ম’রে প’ড়ে থা’কে। তখন তাদের মৃ’তদে’হ রো’দে শু’কিয়ে যায় অথবা বিভিন্ন জলজ প্রাণী খে’য়ে নেয়। অত্যন্ত নরম দে’হের এই প্রাণীটি কাঁ’কড়া ধরার এক বিশেষ কৌ’শল রপ্ত করেছে। তবে কাঁকড়া যদি আকারে বড় হয়ে থাকে, তাহলে সেটি তাদের জন্য বি’পজ্জ’নক হয়ে থাকে।

কারণ তাদের শক্তিশালী চি’মটা রয়েছে। এক্ষেত্রে তারা এক বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে থাকে। মুহুর্মুহু দেহের রং প’রিবর্ত’নের মাধ্যমে কাঁকড়াকে সম্মো’হিত করে ফেলে। কাটল ফিশ বেশ উ’জ্জ্বলতার সঙ্গে সঙ্গে ঝলমল করতে থাকে। সূর্যের আলোতে এদের ধাতব প’দার্থের মতো দেখায়। পেছনের পেটের সঙ্গে মিলিয়ে এরা এদের রং বদল করে।

কাটল ফিশের দৈর্ঘ্য ৮ সেন্টিমিটার থেকে ১.৮ মিটার পর্যন্ত হতে দেখা গিয়েছি।এরা শ’ত্রুদের হাত থেকে নিজে’দের রক্ষা করার জন্য এক অ’দ্ভুত উপায় ব্যবহার করে থাকে। তারা এক প্রকার কালো রঙের তরল পদার্থ নিঃসরণ করে। এটি ধোঁয়ার মতো কাজ করে। তারা তাদের ডিমও লুকিয়ে রাখে ওই কালো তরল পদা’র্থের মধ্যে।তাদের কাছে শরীরের আকার কোনো ব্যাপার নয়। তাদের বেশি কৌশলী হতে হয়। দৈত্যাকার কাটল ফিশগুলো মিলিত হয় বংশবৃদ্ধির প্রয়োজনে। স্ত্রী মাছের সংখ্যা অনেক কম হওয়ায় যৌ.ন’তার প্রতিযোগিতা এখানে চরমতম। একটি মাত্র স্ত্রী মাছ থাকে একটি দানবাকার পু’রুষের দখলে।

অন্য কোনো পুরুষ যদি সেই স্ত্রী মা’ছটিকে নিজের সঙ্গী বানাতে চায়, তাহলে সেই দুই পু’রুষদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ভ’য়ং’কর আ’ক্র’মণ।কখনো কখনো তারা দেহে’র রং পরিবর্তন করে অবিকল স্ত্রী মা’ছের রূপ ধারণ করে। বংশগতিতে বৈচিত্র্য আনতে স্ত্রী মাছেরা সাধারণত একাধিক পুরুষের সঙ্গে যৌ.ন’তায় দ্বি’ধা করে না। সাধারণত কা’টল ফিশ বসন্তকাল ও গ্রীষ্মকালে ডিম পাড়ে। একেকটি কাটল ফিশ প্রায় ১০০ থেকে ৩০০টি ডিম পাড়ে। মানুষ এদের খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। এদের হাড় তোঁতা ও ক্যানারি নামক পাখির খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।