তদবিরে কাজ হল না, গ্রেফতার হতে পারেন হাজী সেলিম?

নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর এবং হুমকি প্রদানের ঘটনার পর থেকেই আলোচিত ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজী সেলিম এবং তার পুত্র ইরফান সেলিম। ইতিমধ্যে পুলিশ ও গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে অবৈধ জমি দখল, অন্যের সম্পত্তি জোর করে দখলে রাখা এবং সরকারি সম্পত্তি বেআইনিভাবে ভোগদখল করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে।আর এই সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতেই হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। এমনকি একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে এই

মামলার জেরে হাজী সেলিম গ্রেফতারও হতে পারেন।জানা গেছে, হাজী সেলিমের নিয়ন্ত্রণে থাকা একাধিক সরকারি জমি সরকারের নিকট হস্তান্তরের জন্য তাকে সময় দেয়া হয়েছিলো কিন্তু সেই সময়সীমার মধ্যে তিনি তা করেননি। আর এর কারণেই তার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে।প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হাজী সেলিমের গাড়ির সঙ্গে নৌবাহিনী

কর্মকর্তার মোটর সাইকেলের ধাক্কা লাগে। এর জেরি ঐ কর্মকর্তা গাড়ি থামালে গাড়ি থেকে হাজী সেলিমের ছেলে ও তার নিরাপত্তাকর্মীরা নেমে ওই কর্মকর্তাকে মারধর করেন। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় মামলা করেন আহত নৌবাহিনীর কর্মকর্তা। মামলার পরে র‍্যাব ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে এবং বাসা থেকে অবৈধ মাদক, অস্ত্রসহ বিভিন্ন অবৈধ সামগ্রী উদ্ধার করে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

আরও পড়ুন=ফরাসি ম্যাগাজিন শার্লি এবদো কর্তৃক বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলো হেফাজতে ইসলাম। আর এরপর সোমবার সকাল থেকেই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় জড়ো হতে থাকেন মুসল্লিরা এবং একসময় এই কর্মসূচিতে ঢল নামে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের। মতিঝিল-পল্টন এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। এমনকি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরাও মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। ইতোমধ্যে এ সমাবেশের ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ফেসবুকজুড়ে প্রশংসা কুড়োচ্ছো এই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ।বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ তার ফেসবুক স্টাটাসে লিখেছেন, ‘‘শেষ কবে বাংলাদেশ এত বৃহৎ জনসমাবেশ হতে দেখেছেন? এমনকি বিএনপি-আওয়ামী লীগের মত বড় রাজনৈতিক দলেরও এমন সমাবেশ শেষ কবে দেখেছেন?”

স্টাটাসে তিনি আরও লিখেছেন “ও হ্যাঁ, এটা কিন্তু বিরানির প্যাকেট বা শেরাটনের খাবারের লোভে আসা সমাবেশ নয়, খাই খরচ, রাহা খরচ, কামলা খরচ দিয়ে আনা লোকের সমাবেশ নয়; রসুলের প্রেমে, রসুলের(সা.) অসম্মানের প্রতিবাদে নিজের জান, মাল ও শ্রম খরচ করে আসা লোকের সমাবেশ। এত লক্ষ লক্ষ লোকের সমাবেশ, অথচ কি শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হল!! এটাই ইসলাম, এটাই বাংলাদেশ, রসূল (সা.) প্রেমী মানুষের বাংলাদেশ, এটাই বাংলাদেশের ইসলাম। যারা বোঝে না, বুঝতে চায় না, সেটা তাদের সীমাবদ্ধতা। কিন্তু বাংলাদেশে থেমে থাকবে না!’’