ডেঙ্গুতে নতুন উপসর্গ, দেরি করে হাসপাতালে আসায় বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি

দেশে প্রতিদিন ডেঙ্গুরোগী যেভাবে বাড়ছে, তাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কও বাড়ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ডেঙ্গুর নতুন উপসর্গ। এ বছর ডেঙ্গুরোগীদের মধ্যে নতুন যেসব উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তার সঙ্গে প্রথাগত ডেঙ্গুর উপসর্গের তেমন মিল নেই। এসব উপসর্গের মধ্যে রয়েছে- ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও মাথাব্যথা। নতুন এসব উপসর্গের কারণে অনেক রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, তা বুঝতে না পেরে হাসপাতালে আসতে দেরি করছেন। যে কারণে চিকিৎসা বিলম্বিত হওয়ায় তাদের অবস্থা জটিল হচ্ছে। ফলে আক্রান্ত রোগীদের অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মারা যাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যুর খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৮৯৬ জন। এ নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাপসাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো তিন হাজার ১৭৪ জনে। এছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১০ জনে। এর আগে বুধবার ডেঙ্গু আক্রান্ত সাতজনের মৃত্যুর খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলতি বছর ডেঙ্গুরোগীদের মধ্যে নতুন যেসব উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তার সঙ্গে প্রথাগত ডেঙ্গুর উপসর্গের তেমন মিল নেই।

এসব উপসর্গের মধ্যে রয়েছে- ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও মাথাব্যথা। নতুন এসব উপসর্গের কারণে অনেক রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, তা বুঝতে না পেরে হাসপাতালে আসতে দেরি করছেন। এদিকে, গত কয়েক সপ্তাহে ডেঙ্গু পরিস্থিতি হঠাৎ করে এতটাই খারাপ হয়েছে যে, হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগী প্রতিদিনই বাড়ছে। এ অবস্থায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। এমনকি ডেঙ্গুরোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড তৈরি করেও চাপ সামলানো যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন: ঢাকার পর ডেঙ্গু বেশি কক্সবাজারে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতাল ভবনের দশম ফ্লোরটি শুধু ডেঙ্গুরোগীদের জন্যই রাখা হয়েছে। ওয়ার্ডের বাইরের খোলা জায়গাকেও ডেঙ্গু ডেডিকেটেড ওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়েছে। মূল ওয়ার্ডের বাইরের খোলা জায়গা, যেটি মূলত প্রথাগত কোনো ওয়ার্ড নয়- সেখানেও এখন ডেঙ্গুরোগী রাখা হচ্ছে। ওয়ার্ডের বাইরের ওই খোলা জায়গাকেও ডেঙ্গু ডেডিকেটেড ওয়ার্ড হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও হাসপাতালে ভর্তি

রোগীদের মধ্যে অনেকেই বেড না পেয়ে মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।ডেঙ্গুতে নতুন উপসর্গ, দেরি করে হাসপাতালে আসায় বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকিগত কয়েক সপ্তাহে ডেঙ্গু পরিস্থিতি হঠাৎ করে এতটাই খারাপ হয়েছে যে, হাসপাতালে প্রতিদিনই রোগী বাড়ছে। এ অবস্থায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। এমনকি ডেঙ্গুরোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড তৈরি করেও চাপ সামলানো যাচ্ছে না।

শাহজাহানপুর থেকে আসা এক রোগীর মা জানান, আমার ছেলের (রাফি) কয়েকদিন ধরে মাথাব্যথা-জ্বর ছিল। আমরা প্যারাসিটামল খাওয়াচ্ছিলাম, কিন্তু জ্বর কমছিল না। ক্রমেই দুর্বল হলে ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। পরীক্ষা করার পর ডেঙ্গু ধরা পড়েতিনি বলেন, আমরা বাসায় মশার কয়েল জ্বালাই, রাতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমাই। রাফি বাইরে কোথাও থেকে আক্রান্ত হতে পারে। কারণ, সে (রাফি) ছাড়া বাসার অন্য সবাই সুস্থ আছে।