মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কমলা হ্যারিস। নানা কারণে কমলা হ্যারিসকে নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। প্রথমত, তিনি প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে। দ্বিতীয়ত, তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত আফ্রিকান এশীয় নারী হিসেবে সবচেয়ে উচ্চতর একটি রাষ্ট্রীয় পদ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।তৃতীয়তঃ তিনি হবেন মার্কিন ইতিহাসে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম নারী। যিনি এরকম একটি গুরুত্বপুর্ণ দ্বীতিয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদে অধিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কমলা হ্যারিসকে নিয়ে এখন নানামুখী আলোচনা এবং চর্চা হচ্ছে । আর এ সমস্ত আলোচনায় এবং চর্চার মধ্যে একটি বিষয হারিয়ে যাচ্ছে, তা হলো কমলা হ্যারিস ডঃ কামাল হোসেনের ছাত্রীও বটে।
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
ডঃ কামাল হোসেন ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি ক্যালিফোর্নিয়ায় হস্টিং কলেজ অফ ল এর অতিথি শিক্ষক হিসেবে (ভিজিটিং প্রফেসর) দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেখানে তিনি বছরে একবার এক মাস সংবিধান, মানবাধিকার অধিকার এবং পেট্রোকেমিক্যাল আইনের ওপর পাঠদান করাতেন।কমলা হ্যারিস ১৯৮৭ সালে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া হস্টিং ল কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হন। কমলায় হ্যারিস হাওয়ার ইউনিভার্সিটি থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং অর্থনীতিতে ডিগ্রী অর্জন করেন ১৯৮৬ সালে। এরপর তিনি ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ায় যায় আইনের ওপর পড়াশোনা করতে।
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফর্নিয়ায় লিগ্যাল এডুকেশন অপরচুনিটি প্রোগ্রাম (এলইপিও) এর আওতায় তিনি আইনের ওপর পড়াশোনা করেন। কমলা হ্যারিসে যে সময় ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া শিক্ষার্থী হিসেবে ছিলেন, সেসময় ডঃ কামাল হোসেন ছিলেন ওই ইউনিভার্সিটির অতিথি শিক্ষক।আমরা যদি কমলা হ্যারিসের বিশেষায়িত দিকগুলো দেখি, তাহলে দেখব যে তিনি মানবাধিকার বৈষম্য, আইনের শাসন বিষয়ে অধিকতর দক্ষতা অর্জন করেছেন। তাই ডঃ কামাল হোসেন শিক্ষক হিসেবে একজন সফল ছাত্রী পেয়েছেন সেটি বলা যায়।
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
ডঃ কামাল হোসেন একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী হিসেবে শুধু বিশ্বে সমাদৃত নন বরং তিনি জাতিসংঘের আইন বিষয়ক উপদেষ্টারসহ অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়াসহ নয়টি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে খন্ডকালীন অতিথি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।বিশ্বের বিভিন্ন দেশের একাধিক
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
শিক্ষার্থী রয়েছে যারা এখন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদ এবং দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯২ সালের পর থেকে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া আর দায়িত্ব পালন করেনি। কিন্তু তার দায়িত্ব পালন করার সময় কমলা হ্যারিস ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল ডঃ কামাল হোসেন আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
ডঃ কামাল হোসেন জানিয়েছেন যে, ওই সময় প্রচুর ভারতীয় এবং আফরিকান-আমেরিকানরা আইন বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করে। তারা আইন পেশায় দক্ষতা অর্জন করে। ড. কামাল হোসেনের স্মৃতিতে কমলা হ্যারিস না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেব অনুযায়ী এবংযে সময় কমলা হ্যারিস ইউনিভর্সিটি অফ ক্যালিফর্নিয়া আইনের ওপর পড়াশুনা করেছেন। সে সময় ডঃ কামাল হোসেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। তাই তাদের ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক এখন নতুন করে ঝালাই হবে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)
![](https://greenbangladesh24.com/code.jpg)