রাধানগর এলাকার বাসিন্দা সৌরভ অপু জানান, সৌদি প্রবাসী বড় ভাই সাদ্দামকে বিদায় দিতে এগারোসিন্ধুর ট্রেনে সৌদির উদ্দেশে বিমানবন্দন যাচ্ছিলেন আফজাল। পথে ট্রেন দুর্ঘটনা তার প্রাণটাই কেড়ে নিয়েছে। আহত হয়েছেন সাদ্দামও। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বড় ভাই সৌদি প্রবাসী সাদ্দাম হোসেনের ফ্লাইট ছিল সোমবার রাত ৯টায়। বড় ভাইকে বিমানে তুলে দিতে তার সঙ্গী হয়েছিলেন আফজাল হোসেন। কিন্তু ট্রেন দুর্ঘটনা তার প্রাণটাই কেড়ে নিয়েছে। বড় ভাইও গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভৈরবের জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় যাত্রীবাহী এগারসিন্দুর ট্রেনকে ধাক্কা দেয় একটি মালবাহী ট্রেন। এই দুর্ঘটনায় ২০ জনের প্রাণহানির সঙ্গে অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন।
ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের একজন ২৪ বছর বয়সী আফজাল হোসেন। ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের রাধানগর এলাকার বাসিন্দা আবদুল মান্নানের ছেলে তিনি।
ঢাকা কলেজে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আফজাল ভৈরব আগানগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
রাধানগর এলাকার বাসিন্দা সৌরভ অপু জানান, আফজালরা চার ভাই। বড় ভাই সাদ্দাম ও তার আরেক ছোট ভাই আরিফও সৌদিতে থাকেন। সাদ্দাম কিছুদিনের জন্য ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। ছুটি শেষে সোমবার এগারোসিন্ধুর ট্রেনে সৌদির উদ্দেশে বিমানবন্দন যাচ্ছিলেন।
রাত ৯টায় সাদ্দামের ফ্লাইট ছিলো। বড় ভাইকে বিদায় দিতে গিয়েছিলেন আফজাল। কিন্তু ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ গেল তার।
তিনি আরও জানান, আফজালের বড় ভাই সাদ্দামও এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন। মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন তিনি। এ অবস্থায় পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।