জোড়া মাথা আলাদা করা সেই যমজ শিশু সুস্থ আছে

ঢাকা সিএমএইচ-এ সফল অপারেশনের মাধ্যমে যমজ শিশু রাবেয়া ও রোকেয়ার জোড়া মাথা আলাদা করার পর তারা সুস্থ জীবন যাপন করছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। গত ১ বছর ধরে তারা ঢাকার সিএমএইচ এ চিকিৎসাধীন।

আইএসপিআর জানায়, এই শিশুদের ধারাবাহিক চিকিৎসা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ২৭ অক্টোবর হাঙ্গেরি থেকে আগত ৪ জন চিকিৎসকের উপস্থিতিতে দেশের সামরিক ও অসামরিক চিকিৎসকদের সমন্বয়ে শিশু রাবেয়ার অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। গত ৬

দিন ধরে শিশু রাবেয়া সিএমএইচ চিকিৎসাধীন। রাবেয়া অনেকাংশেই ভাল আছে এবং প্রায় স্বাভাবিক কথা-বার্তা বলতে পারে এমনকি খেলাধুলাও করতেচায়। তবে রোকেয়ার স্নায়ুগত কিছু কিছু দুর্বলতা আছে। যার কারণে সে এখনও পরিপূর্ণ কথা বলতে বা হাটতে পারছে না। তবে নিজে-

নিজে খাবার গ্রহণ করতে পারছে এবং কথা বুঝতে পারছে। আশা করা যায় শিগগিরই তার উন্নতি হবে।২০১৬ সালের ১৬ জুলাই পাবনা জেলার অন্তর্গত চাটমোহর থানার গ্রাম্য দম্পতি রফিকুল ইসলামএবং তাছলিমা বেগমের ঘরে জন্ম গ্রহণ করে জোড়া মাথার যমজ বাচ্চা। এরূপ জোড়া মাথার বাচ্চার আলাদাকরণ কার্যক্রমে সফলতা অর্জনের উদাহরণ অত্যন্ত কম। জোড়া মাথার যমজ শিশুর জন্য সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে হয়েছে বাবা-মাকে।

এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে। পরে তিনি শিশুদের চিকিৎসার দায়ভার গ্রহণ করেন এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেন। এরই ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনী প্রধানের নির্দেশনায় সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদফতরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও পরিকল্পনায় ঢাকা সিএমএইচ-এ

হাঙ্গেরি থেকে আগত চিকিৎসক দল এবং বাংলাদেশের সামরিক ও অসামরিক চিকিৎসকরা ২০১৯ সালের ১ আগস্ট থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৩৩ ঘণ্টা বিমুক্তকরণ অপারেশন সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে সক্ষম হন।এই অপারেশন বিশ্বের ১৭তম সফল অপারেশন ও বাংলাদেশে প্রথম। যা বাংলাদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য একটি মাইলফলক।