চোর অ’পবাদ দিয়ে মধ্য’যুগীয় কা’য়দায় নি’র্যাতন কলেজছাত্রকে

হবিগঞ্জের বাহুবলে খুঁ’টির সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁ’ধে বৃন্দাবন স’রকারি কলেজের এক ছা’ত্রকে মধ্যযু’গীয় কায়দায় নি’র্যাতন করেছে প্রে’মিকের বাড়ির স্বাজনরা। গু’রুতর আ’হত অবস্থায় তাকে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পরে সিলেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাকে নি’র্যাতনের ভিডিও এখন সামাজিক

যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল। এ নিয়ে জে’লা জুড়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। স্থানীয়রা জানান, জে’লার চুনারুঘাট উপজে’লার হাসেরগাও গ্রামের আহসান উল্ল্যার ছেলে বৃন্দাবন স’রকারি কলেজের অনার্স (গণিত বিভাগ) ৪র্থ বর্ষের ছাত্র ফয়সল মিয়ার সঙ্গে বাহুবল উপজে’লার দ্বিমুড়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের কন্যা মাহফুজা আক্তার লিজার প্রে’মের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) রাতে তাদের বাড়িতে গেলে প্রে’মিকার বাড়ির আত্মীয়স্বজন চোর আখ্যা দিয়ে খুঁ’টির সঙ্গে বেঁ’ধে মধ্যযুগীয় কায়দায় তার ও’পর নি’র্যাতন চলায়। তবে প্রেমিক ফয়সলের পরিবারের অ’ভিযোগ তাকে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে নি’র্যাতন করা হয়েছে।ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, প্রে’মিকার বাড়ির স্বজনরা তাকে নি’র্যাতন করছে। এ সময় তিনি বাঁচার জন্য আকুতি মিনতি করছেন। তারপরও চলছিল ব’র্বর নি’র্যাতন। খবর পেয়ে বাহুবল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফুয়াদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রেমিক ফয়সলের বাড়িতে খবর দিয়ে তাকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। স্বজনরা তাকে চিকিৎসার জন্য শনিবার (৩১ অক্টোবর) হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে চিকিৎসকরা তাকে দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। রবিবার (১ নভেম্বর) বিকালে তাকে সিলেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে প্রেমিক ফয়সলের বাবা আহসান উল্ল্যার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে মোবাইল ফোনে খবর দিয়ে বাড়িতে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নি’র্যাতন করা হয়েছে। বর্তমানে সে মা’নসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। কাউকে চিনতে পারছে না।’ ফয়সলের বোন হুনফা আক্তার জানান, তার ভাইকে

পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে হ’ত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ওই বাড়ির মেয়ের সঙ্গে তার ভাইয়ের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু মেয়ের মায়ের কারণে তাদের সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি। তিনি তার ভাইকে নি’র্যাতনের বিচার চান। বাহুবল উপজে’লার দ্বিমুড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘প্রথমে শুনছি চোরকে মা’রধর করা হচ্ছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ছেলেটি ভদ্র। আমার স’ন্দেহ হলে তাকে তার স্বজনদের কাছে তুলে দেই।’

বাহুবল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘প্রথমে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছিল চোর ধরে মা’রধর করা হচ্ছে বলে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বি’ষয়টি জানতে পারে। তাই আ’হত যু্বককে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় অ’ভিযোগ দা’য়ের করা হলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন