চলতি সপ্তাহ শেষে আবার শৈত্যপ্রবাহ

বৃষ্টির কারণে চলতি সপ্তাহ শেষে সারা দেশে আবার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। গত এক সপ্তাহ শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভাগ রাজশাহীর সব জেলায়। গতকাল শনিবার এই বিভাগের মাত্র একটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহ ছিল। নওগাঁ, মৌলভীবাজারসহ রংপুর বিভাগের সব জেলায় গতকাল শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ রবিবার আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি কিংবা হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল থেকে নওগাঁ, মৌলভীবাজার জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় তা প্রশমিত হতে পারে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে, ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তত্সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, বর্তমানে পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। জানুয়ারিতে আরো দুটি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে।পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘পঞ্চগড়ে যেহেতু প্রতিবছর শীতের তীব্রতা থাকে, তাই শীত মোকাবেলায় এ এলাকার মানুষের আগাম প্রস্তুতি থাকে। এ পর্যন্ত পঞ্চগড়ের দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে ৪০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরো ২০ হাজার শীতবস্ত্র আমাদের কাছে মজুদ রয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, জেলায় সকাল থেকে ঘন কুয়াশা ছিল। কুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে, হেডলাইট জ্বেলে। সড়কে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে। সদর উপজেলার হায়দারপুর, দৌলাতদিয়াড় ও দামুড়হুদার পিরপুরে পৃথক তিনটি দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত তিনজন।চুয়ডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ রকিবুল হাসান জানান, গতকাল সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর থেকে ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। বিকেল ৫টায়ও সূর্য দেখা যায়নি।