টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ ঘরের বক্সখাটের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার পর স্বামী মোস্তাক পালিয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার হওয়া প্রবাসীর স্ত্রী মুনিয়া ইসলাম (৩২) গোপালপুর উপজেলার নলীন এলাকার নুরুল ইসলাম খানের মেয়ে। তিনি একই উপজেলার বাগুয়াটা গ্রামের আজমত আলীর ছেলে ব্রুনাই প্রবাসী
মোস্তাকের স্ত্রী। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ভুঞাপুর পৌরসভার ঘাটান্দির গনেশ মোড় এলাকা থেকে জহুরুল ইসলামের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এদিকে এই ঘটনার পরই আলাদা আলাদাভাবে তদন্ত শুরু করেছে পিবিআই ও থানা পুলিশ। প্রবাসী মোস্তাক তার স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তান নিয়ে ঘাটান্দির গনেশ মোড় এলাকায় জহুরুল ইসলামের পাঁচতলা বাসার তৃতীয়তলায় ভাড়া থাকতেন। গত ১৫ বছর আগে মুনিয়া ও মোস্তাকের বিয়ে হয়।
মৃতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। দুই ছেলের একজন তার খালার বাসায় ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক রুমে ছেলেকে ঘুমিয়ে রেখে অন্য রুমে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর মরদেহ বক্সখাটের নিচে রেখে আজ শুক্রবার ভোরে বাসার মূল দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়েছে স্বামী মোস্তাক। ছেলেটা ঘুম থেকে উঠে ডাকচিৎকার করলেও আশপাশের কোনো ভাড়াটিয়া এগিয়ে যাননি। পরে বাসার কেয়ারটেকার বাসার দরজা খুলে দেন। এদিকে মৃত মুনিয়া
ইসলামের খোঁজ না পেয়ে বাসার বিভিন্ন রুমে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন স্বজনরা। এক পর্যায়ে ছোট ছেলে বক্সখাটের নিচে দেখতে বলে। পরে বক্সখাটের পাতাটন খুলে মুনিয়ার মরদেহ পান তারা। মৃত মুনিয়া ইসলামের ভাই আমিনুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পারিবারিক ঝামেলা চলছিল স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে। পরে বড় বোন নাসরিন আক্তার কয়েকদিন আগে দুইজনকে বুঝিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছিল।
এরপর আর কিছু জানি না। সন্ধ্যায় খবর পেলাম বোনের মরদেহ বাসার বক্সখাটের নিচে রেখে দেওয়া হয়েছে। স্বামী মোস্তাক পালিয়েছে। বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ বক্সখাটের নিচে রেখে পালিয়েছে ঘাতক মোস্তাক। তার শাস্তি চাই। ভুঞাপুর থানার ওসি আহসান উল্লাহ জানান, ঘটনার পর থেকেই স্বামী পলাতক রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে। তদন্ত চলছে।