আমাদের শরীরের রক্ত পরিশোধনের অঙ্গ কিডনি। শরীরে জমে থাকা অনেক রকম বর্জ্যও পরিশোধিত হয় কিডনির মাধ্যমে। তাই কিডনি ভাল রাখতে আমাদের কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে চলা উচিৎ। তবে কিডনির নানা সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে কিডনিতে পাথর হওয়া।
যাঁরা জীবনে কিডনিতে পাথরের সমস্যায় ভুগেছেন, তাঁরাই জানেন এই ছোট জিনিসটি কতটা ব্যথা দিতে পারে। গবেষণায় বলা হয়, অন্তত ১১ জনের মধ্যে একজন জীবনের কখনো না কখনো এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। আগে বলা হতো, পুরুষদের এই সমস্যা বেশি হয়। তবে নতুন কিছু গবেষণায় বলা হচ্ছে এর অন্যতম কারণ হতে পারে ওজনাধিক্য।
মূলত কিডনির ভেতরে কঠিন পদার্থ জমা হয়ে কিডনিতে পাথর তৈরি হয়। প্রস্রাবে বিভিন্ন উপাদান তরল, খনিজ এবং অম্লের ভারসাম্যহীনতার কারণে কিডনিতে পাথর হয়।কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ-১. অতিরিক্ত মাংস খেলেই বিপদ।২. কম পানি খেলে এই সমস্যা হয়।৩. কম সবজি খেলেও সমস্যা হয়।
৪. বেশি লবণ খাওয়া ক্ষতিকর। এর ফলেও পাথর হয়ে থাকে।৫. বংশগত কারণেও কিডনিতে পাথর হওয়ার আশংকা থাকে।৬. মাঝে মাঝে ডিহাইড্রেশন হলে কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে।৭. ইউরিন ইনফেকশন হলেও কিডনিতে পাথর জমতে পারে।৮. মাইগ্রেনের জন্য ব্যবহৃত টপিরামেট জাতীয় ওষুধ কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।৯. ওজন বাড়লেও মারাত্মক বিপদ। কারণ ওজন বাড়াও এই রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
লক্ষণ–১। রক্তবর্ণের প্রসাব।২। বমি বমি ভাব। অনেক সময় বমিও হতে পারে।৩। কোমরের পিছন দিকে ব্যথা হওয়া। এই ব্যথা তীব্র তবে সাধারণত খুব বেশি ক্ষণস্থায়ী হয় না। ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।সমাধান-যথাযথ ওষুধ খেলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অস্ত্রপচারই একমাত্র উপায়।
১। কিডনি স্টোন-এর ঝুঁকি এড়াতে হলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।২। কখনও প্রস্রাব আটকে বা চেপে রাখবেন না! প্রস্রাবের বেগ আসলে চেষ্টা করবেন সঙ্গে সঙ্গে প্রস্রাব করার।৩। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান।৪। দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াই ভাল।৫। বারবার ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।