ঢাকা: মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারে আটকে যায় ঘুড়ি। এতে এক ঘণ্টা বন্ধ থাকে মেট্রোরেলের যাত্রী পরিবহন।সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল মেট্রোরেল। এরফলে নাগরিক জীবনে গতি বাড়ানো মেট্রোরেলে সৃষ্টি হয় অস্বস্তি। বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের উপ-প্রকল্প পরিচালক নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া।গত ৩১
ডিসেম্বর বৈদ্যুতিক তারে ফানুস আটকে দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। পরে সেগুলো অপসারণের পর আবার চলাচল শুরু হয়।এ বিষয়ে নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ফানুসের ঘটনায় থানায় একটা জিডি করা হয়েছিল। সচেতন করা গেলেই এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনাকমে আসবে। এরইমধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে ঘুড়ি-ফানুস না উড়াতে। লিফলেটও বিতরণ করা হয়েছে।সরেজমিনে দেখা
গেছে, মেট্রোরেল পথের দিয়াবাড়ী-আগারগাঁও অংশের দুই পাশে রয়েছে অসংখ্য বহুতল ভবন। যেগুলোর ছাদ থেকে শুরু করে বারান্দায় নিয়মিত কাপড় শুকাতে দেয় বাসিন্দারা। যা বাতাসে উড়ে পড়তে পারে ট্রেনের বিদ্যুতের তারে। এসব তারের ওপর নেট দিয়ে ঢেকে দেওয়ার কথা বলছেন অনেকেই। তাতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে চলবে ট্রেন।প্রসঙ্গত, গত ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের পরদিন ২৯ ডিসেম্বর
থেকে যাত্রী চলাচল শুরু করে মেট্রোরেল। বর্তমানে রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে যাতায়াত করছে যাত্রীরা। ঢাকার উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম মেট্রোরেল যেটা এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত। এ প্রকল্প সরকার হাতে নেয় ২০১২ সালে। এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল
২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। পরে মতিঝিল থেকে কমলাপুর বাড়তি অংশ যোগ হওয়ায় ব্যয় বাড়ে ১১ হাজার ৪৯৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। তখন সর্বোমোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন সহযোগী জাইকার অর্থায়ন ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা ও সরকারি অর্থায়ন ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।