আড়াইহাজারে গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা নিয়ে সমিতি লাপাত্তা

সোমবার (৯ নভেম্বর) এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের হই, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের একটি সমবায় সমিতি গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে। জীবনের সঞ্চয় হারিয়ে হাজারো গ্রাহকের এখন পথে বসার উপক্রম। কোথায়ও গিয়ে সহযোগিতা পাচ্ছে না তারা। এতে আরো হতাশ হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা।

মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী সেলিনা আক্তার বেবী জানান, গত ১৪ অক্টোবর ২০০৮ সালে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ইজারকান্দী গ্রামের জব্বার হাজীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম তার নিজস্ব কিছু লোকজন নিয়ে তাদের নিজ বাড়িতে গণপ্রত্যাশা সমিতির নামে একটি অফিস খুলে ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে তাদের গ্রাহক সংখ্যা ২ হাজার ১শ জন।তারা প্রত্যেক গ্রাহকের কাছ থেকে ৩ লাখ থেকে শুরু করে ১২-১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সমিতিতে জমা রাখেন। এর মধ্যে তার নিজের রয়েছে ৬ লাখ টাকা। আয়শা আক্তার বিউটির রয়েছে ৮ লাখ টাকা।

তিনি আরো জানান, এভাবে ওই সমিতিতে ২ হাজার ১শ গ্রাহকের টাকা জমা রয়েছে। গ্রাহকদের প্রতি লাখে মাসিক ৩ হাজার টাকা করে লাভ দেওয়ার কথা। এ অবস্থায় করোনা শুরু হওয়ার পর থেকেই সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সুফিয়া বেগম, প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ফজলুল হক ওরফে ফজুল্লাহ, ম্যানেজার সফিউল্লাহ সুমন, সচিব ও পরিচালক মুক্তি আক্তার এবং ক্যাশিয়ার রাশেদ রাজন অফিস গুটিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। কিন্তু তারা বিষয়টি বুঝে ওঠার আগেই অফিস কর্তৃপক্ষ ৩০ অক্টোবরের মধ্যে অফিসে সবকিছু অগোছালোভাবে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। তাদের সব মোবাইল ফোন বন্ধ। কোনোভাবেই অফিস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

ভুক্তভোগী সেলিনা আক্তার বেবী, সাদিয়া আক্তারসহ একাধিক সদস্য জানান, কর্তৃপক্ষের সবগুলো লোকই কালাপাহাড়িয়ার ইউনিয়নের বাসিন্দা। কর্তৃপক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় তারা এখন পথে বসেছেন। ৩০ অক্টোবর থেকে অফিস বন্ধ থাকলেও মূলত তারা ২/৩ দিন আগে বিষয়টি টের পান। ফলে তারা থানায় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা সমবায় অফিসার নাহিদা নাছরিন বলেন, আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম ইসলাম ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তাদের কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহাগ হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।