আমেরিকার ধ্বংস কামনা করলো ইরান

ইরানের জাতীয় সংসদ ‘আমেরিকা ধ্বংস হোক’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়েছে। একযোগে দীর্ঘ সময় ধরে সব সংসদ সদস্যই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী নীতির প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেন এই স্লোগানের মাধ্যমে।ইরানে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জাতীয় দিবসকে সামনে রেখে সোমবার সংসদ সদস্যরা মার্কিন আগ্রাসী ও সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

এ প্রসঙ্গে সংসদ অধিবেশনে ডেপুটি স্পিকার আমির হোসেন কাজিযাদেহ হাশেমি বলেন, ফার্সি ১৩ অবন হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার পরাজয়ের দিন। ইরানের সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার শত্রুতা ও বিদ্বেষের নীতিতে এখন পর্যন্ত কোনো পরিবর্তন আসেনি।

তিনি আরো বলেন, মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান যে প্রার্থীই জিতুক মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই। ইরানিরা ভালো করেই জানে, ইরানি জাতির বিরুদ্ধে আমেরিকা যে নীতি অনুসরণ করছে তাতে মৌলিক কোনো পরিবর্তন আসবে না।

উল্লেখ্য ৩ নভেম্বর ইরানে পালিত হবে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী জাতীয় দিবস ও মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তির আখড়া দখলের বার্ষিকী। ১৯৭৯ সালের এই দিনে তেহরানে অবস্থিত তৎকালীন মার্কিন দূতাবাস নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল ইরানের বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিপ্লবী ছাত্র।মার্কিন দূতাবাস থেকে বিপ্লব বিরোধী ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে-এটা নিশ্চিত হওয়ার পর এ পদক্ষেপ নেন তারা। দূতাবাস থেকে তারা গুপ্তচরবৃত্তির বিপুল সনদও উদ্ধার করেন।

দু’মিনিট ষোলো সেকেন্ডের একটি ভিডিও। সাবেক আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শেয়ার করা সেই ভিডিওটি নেট দুনিয়ায় আপাতত ঝড় তুলেছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নীল ফুল হাতা শার্ট পরা ওবামা তার পাশে রাখা একটি ল্যান্ডফোন থেকে একটি নম্বরে ডায়াল করছেন। আসলে এক নারীকে ফোন করে এবারের ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনের হয়ে ভোট চেয়েছেন বাইডেনেরই সাবেক ‘বস’।

ওবামা ভিডিওটি নিজের টুইটার হ্যান্ডলে শেয়ার করার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রায় ২০.৮ লক্ষ নেট-নাগরিক সেটি দেখে ফেলেছেন। এলিসা ক্যামেরোটা নামে যে নারীকে তিনি ফোন করেছিলেন, সেই নারীও সোশ্যাল মিডিয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার কথাবার্তার সেই ভিডিও পোস্ট করেছেন। দেশের সাবেক প্রেসিডেন্টের ব্যবহারে এলিসা তো মুগ্ধই, নেট-নাগরিকদের অনেকেই ওবামার প্রশংসায় এখনও পঞ্চমুখ।