আমাকে জোর করে অনেক জায়গায় বাধা দেয়া হচ্ছে: তামিম

দরজায় কড়া নাড়ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। আর মাত্র ৭ দিন পরই পর্দা উঠবে ভারতে বসতে যাওয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আয়োজন। আইসিসির মেগা এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে ইতোমধ্যে ভারতের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।

টাইগাররা দেশ ছাড়ার আগে হয়েছে বেশ নাটকীয়তা। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে তামিম ইকবালকে ছাড়াই বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ওয়ানডে সুপার লিগে শীর্ষ তিনে বাংলাদেশ দল যেই তামিমের নেতৃত্বে স্থান করে নিয়েছিল সেই তামিমকে ছাড়াই বিশ্বকাপে যাচ্ছে টাইগাররা। যা নিয়ে তোলপাড় ক্রিকেট পাড়ায়।

এসব নিয়ে তামিম ইকবাল নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় কথা বলেন। তামিম বলেন, আমি কোনো সময়, কোনো মুহূর্তে কাউকেও বলিনি যে আমি পাঁচ ম্যাচের বেশি খেলতে পারবো না। এই কথাটা কোনো সময় হয়নি। এটা একটা মিথ্যা কথা ভুল কথা। আমি জানি না কে বা কাহারা মিডিয়াকে কথাটা বলছে।

তামিম বলেন, আপনারা জানেন আমি অবসরে যাই। অবসরে যাওয়ারও কারণ ছিল। প্রধানমন্ত্রীর কারণেই আমি আবার অবসর থেকে ফিরি। এই দুই মাস আমি প্রচণ্ড পরিমান কষ্ট করে নিজেকে ফিট করার চেষ্টা করি। ফিজিও ট্রেইনারা যারা ছিলেন তারা আমার সঙ্গে একমত হবেন যে, তারা আমাকে যা যা করতে বলছে যে সেশনে আমি তা তা করি নাই নিজেকে ফিট করার জন্য।

তামিম বলেন, ‘বোর্ডের টপ লেভেল থেকে একজন ফোন করে আমাকে বললো, ‘তুমি বিশ্বকাপে যাবা, কিন্তু তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলাতে হবে। একটা কাজ করো, তুমি প্রথম ম্যাচ খেলিও না।’ আমি বলেছি, এখনো ১২/১৩ দিন সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে তো আমি ভালো অবস্থায় থাকবো। তো কি কারণে খেলবো না? তখন বললো, ‘আচ্ছা তুমি যদি খেলো তাহলে আমরা পরিকল্পনা করছি, তুমি নিচের দিকে খেলবা।’

তামিম আরো বলেন, আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে আমি কোন মাইন্ডসেট থেকে এসেছিলাম। হঠাৎ করে একটা ভালো ইনিংস খেলেছি, আমি খুশি ছিলাম। হঠাৎ করনে আবার এসব ধরণের কথা অ্যাম্বার পক্ষে নেয়া আসলে সম্ভব না। আমি ১৭ বছর থেকে এক পজিশনে ব্যাটিং করেছি, আমি কোনোদিন ৩-৪ এ ব্যাটিং করিনি। তাই সাধারণ ভাবেই আমি কথাটি ভালো ভাবে নেই নি। তাই আমি উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম।

তামিম জানান, আমার কাছে মনে হচ্ছে আমাকে জোর করে করে অনেক জায়গায় বাধা দেয়া হচ্ছে। ইচ্ছা করে করে। যেটা আমার মনে হয়েছে।

এর আগে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তামিম লেখেন, ‌‘আজকে বাংলাদেশ জাতীয় দল ভারতের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পর একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আমি সবাইকে বিগত কয়েক দিনের ঘটে যাওয়া ব্যাপারে কিছু কথা বলবো। গত কয়েক দিন অনেক কথাই গণ মাধ্যমগুলোতে এসেছে। আমি মনে করি বাংলাদেশ দলের এবং আমার ভক্ত – সমর্থক সবারই পরিষ্কার ভাবে সব কিছু জানার অধিকার রাখে।’