দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের আশুরার বিলের আবাদি জমি রক্ষা ও বিলে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ৮ দিন ধরে অনশন কর্মসুচী পালন করে আসছেন আশুরার বিল পাড়ের কয়েক হাজার ভূক্তভোগী চাষী পরিবারের নারী-পুরুষ শিশুরা।এদিকে অনশনরত অবস্থায় গোলাপ সরকার (৭৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও অনশনরত আরও ৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনশনরত অবস্থায় গোলাপ সরকার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। শুক্রবার সকাল ১০টায় তার নামাজের জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে। নিহত গোলাপ সরকার নবাবগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের হরিপুর আদর্শগ্রামের জব্বার সরকারের ছেলে।গত ৩০ অক্টোবর শুক্রবার থেকে আবাদী জমি রক্ষা ও আশুরার বিলে বাধ নির্মানের প্রতিবাদে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ-শিশু অনশন করছেন। শুক্রবার সকাল থেকে তারা মাথায় কাফনের কাপড় পড়ে আশুরার বিলে অনশন করছেন।
আরও পড়ুন=২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্যদিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হলো ৩৬টি স্প্যান আজ। এতে দৃশ্যমান ৫ হাজার ৪০০ মিটার সেতু।শুক্রবার (০৬ নভেম্বর) সকালে মাওয়া প্রান্তে পিয়ার-২ ও পিয়ার-৩-এর স্প্যনাটি বসানো হয়। পদ্মা সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসানো হবে ৪১টি স্প্যান। মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান
চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি)।নদী শাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আব্দুল মোমেন লিমিটেড। সেতুটিতে স্প্যান বসানোর পাশাপাশি সেতুর অন্যান্য কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে।
এরইমধ্যে ২৯১৭ টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে বসানো হয়েছে ১১৬৬ টি ও ২৯৫৯ টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ১৬৪৬ টির বেশি বসানো হয়ে গেছে। সেতুর উভয় প্রান্তে ভায়াডাক্টের ৪৮৪ টি সুপার-টি গার্ডারের মধ্যে স্থাপন হয়েছে ২৫৮টি।সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে এবং শেষ হওয়ার সংশোধিত শিডিউল ২০২১ সালের জুন মাসে। যদিও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন করোনা পরিস্থিতির কারণে কিছুটা ধীরগতি আসায় কাজ শেষ হতে আরও বেশি সময় লাগতে পারে।