আজ পবিত্র শবে মেরাজ

যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য নিয়ে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ পালন করবেন বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।মুসলমানেরা এ মহিমান্বিত রাতটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ আদায়, জিকির-আজকার, দোয়া-দরুদ ও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পালন করবেন।প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের

প্রতিটি মসজিদে ‘লাইলাতুল মেরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। অপরদিকে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপন উপলক্ষে শনিবার দুপুর দেড়টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররাম জাতীয় মসজিদে ‘পবিত্র শবে মেরাজ’র গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের

মহাপরিচালক ড. মোহা. বশিরুল আলম। আলোচক হিসাবে থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আবদুল কাদির। ইসলামে শবে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে, কেননা এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামাজ মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক অর্থাৎ (ফরজ) নির্ধারণ করা হয় এবং দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নির্দিষ্ট করা হয়। এজন্য মহান

রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টির আাশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদে, বাড়িতে কোরআনখানি, জিকির-আজগার এবং ইবাদত-বন্দেগির মধ্যদিয়ে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপন করবেন।প্রসঙ্গত, ‘শবে মেরাজ’ অর্থ ঊর্ধ্ব গমনের রাত। মুসলমানদের ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী, ২৬ রজব দিবাগত রাতে ঊর্ধ্বাকাশে ভ্রমণ

করে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) আল্লাহ তা’য়ালার সাক্ষাৎ লাভ করেছিলেন। রজব হিজরি সনের বিশেষ ও মহিমান্বিত একটি মাস। এ মাস আসে রমজানের আগমনী বার্তা নিয়ে। তাই এই রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতে হবে। এ মাসের বড় বৈশিষ্ট্য হলো— এ মাস আল্লাহ প্রদত্ত চারটি সম্মানিত মাসের (আশহুরে হুরুমের) একটি।