অবশেষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনুদানের আবেদন দাখিলের সময় বাড়ল

স্কুল-কলেজ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান প্রদানে অনলাইন আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ১৫ মার্চ এবং কারিগরি ও মাদরাসার ক্ষেত্রে ১০ মার্চ পর্যন্ত এ সময় বাড়ানো হয়েছে।রোববার (৭ মার্চ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ থেকে সময় বাড়ানোর আলাদা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।আদেশে মন্ত্রণালয় বলছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থীদের বিশেষ অনুদান দেয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন সময় ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হলো।

এদিকে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা সরকারি অনুদান দেয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং ইউটিউবে এমন ভুয়া তথ্য প্রচার করেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তাদের এই গুজবে বিশ্বাস করে শনিবার (৬ মার্চ) দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঢল নেমেছিল। ফটোকপি ও অনলাইন সার্ভিসের দোকানগুলোতেও ছিল উপচেপড়া ভিড়।

প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রত্যয়নপত্র নিতে দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় যান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এমনকি সারাদেশ থেকে আবেদনের জন্য রাজধানীসহ নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে এসেছেন অবস্থান না করা শিক্ষার্থীরাও।

এদিকে, অনুদান নিয়ে প্রতারণা এড়াতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ অনুদানের আবেদন পূর্বনির্ধারিত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে নেয়ার কথা থাকলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে তা হচ্ছে না। এজন্য আবেদন দাখিলের সময়সীমা আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত অনুদান দেয়া হয়। কারা এ টাকা পাবেন তার একটি নীতিমালা আছে। সে অনুযায়ী প্রতি বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান দেয়া হয়।

নীতিমালা অনুযায়ী একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন সংগ্রহ করে কমিটি যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের চূড়ান্ত করে তাদের কিছুটা আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।

কাদের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হয় জানতে চাইলে সচিব বলেন, বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। তার মধ্যে শিক্ষার্থীদের বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল, আর্থিকভাবে অসচ্ছল, শারীরিক অক্ষমতাসহ বিভিন্ন বিষয় গুরুত্ব দেয়া হয়। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে আবেদন চূড়ান্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে অনুদান হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।

রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীদের অনুদান প্রদানের সংশোধিত নীতিমালা ২০২০ অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীদের অনলাইনে (www.shed.gov.bd) আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।