ভয়ংকর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস যে কারণে হয়

করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও নিস্তার নেই। ভুগতে হচ্ছে নানান শারীরিক জটিলতায়। দেখা দিচ্ছে নতুন সব রোগ। সম্প্রতি তালিকায় যোগ হলো ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ওরফে কালো ছত্রাক। ভারতের দিল্লিসহ বেশ কিছু শহরের হাসপাতালে ইতোমধ্যে এই রোগে আক্রান্ত অনেকে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। মারাও গেছেন অনেকে।

কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত ডায়াবেটিক রোগীদের যাদের স্টেরয়েড দেওয়া হয়, তাদের মিউকরমাইকোসিস বা ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে’ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এআইআইএমএস) পরিচালক রনদীপ গুলেরিয়া।

এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে রনদীপ গুলেরিয়া বলেন, মিউকরমাইকোসিসের ‘স্পোর’ মাটি, বাতাস; এমনকি খাবারেও থাকে। তবে মানবদেহে এর আক্রমণের ক্ষমতা কম এবং সাধারণত সংক্রমণ ঘটায় না। কোভিডের আগে এ সংক্রমণের ঘটনা ছিল খুবই কম। এখন কোভিডের কারণে বড় সংখ্যায় সংক্রমণের খবর আসছে।

এসব সংক্রমণের পেছনে ‘স্টেরয়েডের অপব্যবহারের’ বড় ভূমিকা রয়েছে বলে জানান তিনি। কোভিডের ক্ষেত্রে ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণে অনেক মৃত্যু হওয়ায় হাসপাতালগুলোর প্রতি সংক্রমণ প্রতিরোধ প্রটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান রনদীপ গুলেরিয়া।

রনদীপ গুলেরিয়া বলেন, এ সংক্রমণের পেছনে একটি বড় কারণ স্টেরয়েডের অপব্যবহার। যেসব রোগী ডায়াবেটিক, কোভিড পজিটিভ এবং স্টেরয়েড নিচ্ছেন, তাদের ছত্রাক সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এটা প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের স্টেরয়েডের অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

তিনি জানান, তাদের হাসপাতালে এখন এই ছত্রাক সংক্রমিত ২৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ২০ জন এখনো কোভিড-১৯ পজিটিভ। অনেক রাজ্যে পাঁচ শতাধিক মিউকরমাইকোসিস রোগী থাকার কথা জানিয়েছে।রনদীপ গুলেরিয়া বলেন, মিউকরমাইকোসিস মুখে আক্রমণ করতে পারে। নাক, চোখ ও মস্তিষ্কে এর সংক্রমণ ঘটতে পারে। এ সংক্রমণে রোগী দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন। এটা ফুসফুসেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।সূত্র: এনডিটিভি।