১২ সেকেন্ডের পরকীয়া শেষে শিলাজিতের কাছে ফিরলেন শ্রীলেখা

অভিনেত্রী শ্রীলেকা মিত্রের সঙ্গে গায়ক শিলাজিতের সম্পর্কটা সবসময়ই আলোচনার। দীর্ঘদিন তারা স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে দেখা দিলেন পর্দায়। ‘১২ সেকেন্ড’- এর ঝড়ে শিলাজিতের জীবনে শ্রীলেখা এলেন দুঃস্বপ্নের বেদনা হয়ে। সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে এই স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিটি।এখানে শিলাজিতের স্ত্রী সৃজিতা চরিত্রে পরকীয়ায় আসক্ত শ্রীলেখা। তাদের ছেলে কোকেনের নেশায় বুঁদ। মেয়ে বয়সে অনেক বড় এক বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছে!

একসঙ্গে এতগুলো ঘটনা তছনছ হয়ে যাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। কিন্তু শিলাজিৎ সামলে নিতে পেরেছেন। কারণ, পুরোটাই ঘটেছে স্বপ্নে! সেই ১২ সেকেন্ড ১২ মিনিটে ধরে মানুষের জীবনের ভাল-মন্দকে ছোট্ট করে বলার চেষ্টা করেছেন পরিচালক অংশুমান বন্দ্যোপাধ্যায়।লকডাউন কি মানুষের সাদা-কাল দিক চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে? তাই এই ছবি? অংশুমানের দাবি, ‘শুধু সাদা-কালো নয়, মানুষের ‘ভিতরের আমি’

‘বাইরের আমি’ও ধরা দিয়েছে গত ৮ মাসে। তাকে ধরে রাখার লোভ সামলাতে পারিনি। তাই মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা ‘গোপন আমি’র হদিশ দিতেই বানালাম শর্ট ফিল্ম ‘১২ সেকেন্ড’।অংশুমানের ছবির মূল চরিত্র দেবাঞ্জন। শিলাজিৎ যাকে জীবন্ত করেছেন। পরিচালকের মতে, দেবাঞ্জনের পাগলামো ধরতে পারতেন দু’জন অভিনেতা, শিলাজিৎ আর ঋত্বিক চক্রবর্তী। শিলাজিৎ অংশুমানের কমফোর্ট জোন। তাই তিনিই মুখ্য ভূমিকায়। শ্রীলেখা মিত্র তার স্বপ্নসঙ্গিনী। সেজন্য তাকেই বেছে নিয়েছেন।

শ্রীলেখা এই কাজটি নিয়ে খুশি। বললেন, ‘এই কাজটি করার একাধিক কারণ আছে। নতুনদের সঙ্গে কাজের উত্তেজনা। শিলাজিতের সঙ্গে ফের জুটি বাঁধার সুযোগ। ভাল গল্প। তারা তথাকথিত চেনাজানাদের থেকে অনেক বেশি যেন নিরাপদ।’ছবিতে দেখা যাবে নতুন দুই মুখ অরূপ, এনাক্ষীকে। পরিচালকের ভাষায় তারা লম্বা রেসের ঘোড়া। গান করেছেন রুদ্র সরকার।