১০৫ বছর আয়ু পাওয়া জাপানি চিকিৎসকের ৬ পরামর্শ!

ডা. শিগেয়াকি হিনোহারা। ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই ১০৫ বছর ব’য়সে মা’রা যান জাপানি এই চিকি’ৎসক। দীর্ঘজীবন ধা’রণে তাঁকে একজ’ন বি’শেষজ্ঞ মা’না হয়। তাঁর প’রাম’র্শেইগড় আয়ুর দিক থেকে জাপান বি’শ্বে শী’র্ষস্থান অধিকার করেছে। বেশি দিন বেঁ’চে থাকার জ’ন্য তাঁর কিছু প’রাম’র্শ বি’শ্বব্যা’পীস’মাদৃত। বি’শেষ করে হিনোহারার ছয়টি প’রাম’র্শ—

প্রথম প’রাম’র্শ: যত দেরিতে স’ম্ভব ক’র্মজীবন থেকে অবসর নিন। জাপানি এই চিকি’ৎসক নিজে মৃ’ত্যুর মাত্র কয়েক সপ্তাহ আ’গেও ক’র্মজীবনে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর এই প’রাম’র্শ খুবই কা’র্যকর। সা’ধা’রণত চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, অবসর নেওয়ার প’র যেন তাঁদের বার্ধক্য হু হু করে বাড়ে। দেখা দিতে থাকে নানা অ’সুখ-বিসুখ। কাজ মা’নুষের বার্ধক্য আ’টকে রাখে।

দ্বি’তীয় প’রাম’র্শ: ওজ’নের দিকে খেয়াল রাখো। দিনে একবার খাও। ডিনারে মাছ ও স’বজির ও’প’র বেশি জো’র দিয়েছেন। মাংস অবশ্যই খেতে হবে। তবে সপ্তাহে দুবারের বেশি নয়। জলপাইয়ের তেল (অলিভ অয়েল) খাওয়ার ও’প’র জো’র দিয়েছেন তিনি। শ’রীরের ত্বক ও শিরা-ধমনি ভা’লো রাখার জ’ন্য জলপাই তেল ভা’লো কাজ করে।

তৃতীয় প’রাম’র্শ: আনন্দে স’ময় কা’টাও। অ’তিরি’ক্ত নিয়’মকানুনের চা’পে শ’রীর ক্লান্ত হয়ে প’ড়ে। শৈশবে খাবারদাবারের অনিয়’মসত্ত্বেও শ’রীর অ’সু’স্থ হয় না। কেন? কারণ, মা’নসিক চা’প থাকে না। মূলত ঘুমিয়ে বা কিছু না করেই শ’রীর ক্লান্ত না করার প’রাম’র্শ দিয়েছেন তিনি।

চতুর্থ প’রাম’র্শ: যা জানো, তা অন্যকে জা’নাও। তিনি বি’শ্বা’স ক’রতেন, আম’রা পৃথিবীতে এসেছিই এই সভ্যতায় কিছু না কিছুঅবদান রাখার জ’ন্য, মা’নুষকে সাহায্য করার জ’ন্য। আজ, আ’গামীকাল, এমনকি পাঁচ বছর প’রের প’রিক’ল্পনা ক’রতেন তিনি। পঞ্চ’ম প’রাম’র্শ: জাগ’তিক স’ম্প’দ নিয়ে চি’ন্তা না করা। ভা’লো থাকার পেছনে অর্থবহ কাজ করাটাই জ’রুরি। বস্তুগত চি’ন্তার তুলনায় আধ্যাত্মিক চি’ন্তায় শ’রীর ও মন ভা’লো

থাকে ব’লে বি’শ্বা’স ক’রতেন। অর্থবি’ত্ত মা’নুষকে আরও বেশি মা’নসিক চা’পের মধ্যে ফে’লে । অ’ল্পতেই তুষ্ট হওয়া তাই জ’রুরি। তিনি স’ব স’ময় এটা মনে রাখতে ব’লেছেন, শেষ ঠিকানায় এস’ব কিছুই স’ঙ্গে যাবে না। ষষ্ঠ প’রাম’র্শ: সিঁড়ি ব্যবহার করা। হিনোহারা নিজে একবারে সিঁড়ির দু’টি ধাপ পার ক’রতেন, যাতে তাঁর পেশি ঠিক থাকে। শা’রীরিক ব্যায়ামের জ’ন্য দৈনন্দিন কাজক’র্মে যান্ত্রিকতা কমা’নোর ও’প’র গু’রুত্ব দিয়েছেন। কায়িক শ্রম পছন্দ ক’রতেন। ডাক্তারের প’রাম’র্শকে অ’ন্ধভাবে বি’শ্বা’স ক’রতে মা’না ক’রতেন তিনি। চিকি’ৎসকেরা জীবন দিতে পারেন না। তাই অযথা সার্জা’রি করার বি’পক্ষে ছিলেন।