হিরো আলমের নিউজ করায় দুই সাংবাদিকের ওপর যুবলীগ নেতার হামলা

বগুড়ার দুই আসনের উপনির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের নিউজ করা স্থানীয় দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া শহরের টেম্পল রোডের জেলা আওয়ামী লীগ অফিস সংলগ্ন টাউন ক্লাবে এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় হামলার শিকার দুই সাংবাদিক হলেন- বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও কালেরকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি জে এম রউফ এবং স্থানীয় একটি পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জহুরুল ইসলাম।অভিযুক্ত যুবলীগ নেতার নাম শরিফুল ইসলাম শিপুল। তিনি বগুড়া জেলা যুবলীগের সহসভাপতি। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন তিনি।

তবে এখনো এই বিষয়ে কোনো আইনী ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি।হামলার শিকার সাংবাদিক জে এম রউফ জানান, তিনি টাউন ক্লাবের অফিসে (ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে) বসে উপনির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী হিরো আলমের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলনের সংবাদ লিখছিলেন। ওই কক্ষে স্থানীয় সাংবাদিক প্রদীপ মহন্ত ও জহুরুল ইসলাম ছাড়াও তার আরও দুই বন্ধু উপস্থিত ছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে যুবলীগ নেতা শিপুল মদ্যপ অবস্থায় সেখানে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি (রউফ) হিরো আলমের সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও তার পত্রিকার মেইলে দিয়েছেন মর্মে মোবাইল ফোনে অফিসকে অবহিত করছিলেন।

পরবর্তীতে এটি শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন ভাষায় গালাগাল শুরু করেন শিপুল। ‘সাংবাদিকরা হিরো আলমকে রাজনীতিক বানাচ্ছে’ এমন অভিযোগ তুলে তিনি রউফের ওপর হামলা চালিয়ে লাঞ্ছিত করেন। সেখানে উপস্থিত অন্যরা রউফকে উদ্ধার এবং শিপুলকে ওই অফিস থেকে বের করে দেন। তার ৫ মিনিটের ব্যবধানে শিপুল আবারো সেখানে প্রবেশ করে সাংবাদিক জহুরুলের ওপর হালমা করেন।এদিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার খবর পেয়ে রাতেই সদর থানা ও সদর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু ততক্ষণে শিপুল পালিয়ে যাওয়া তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রাত ৩টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও শিপুলকে আটক করা যায়নি।জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু বলেন, শরিফুল ইসলাম শিপুল জেলার প্রস্তাবিত কমিটির সহসভাপতি। এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।