হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরলেন মেনাজ মুন্সি

শুরু হয়েছে লকডাউন। এরসঙ্গে আজ থেকে শুরু রমজান। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন ঝালমুড়ি বিক্রেতা মেনাজ মুন্সি।অসুস্থ শরীর নিয়ে ঝাল মুড়ি বিক্রি করে যা আয় হতো তা দিয়েই চলতো পরিবার। কিন্তু আয়ের সেই পথ বন্ধ হয়ে গেল। লকডাউনের আগের দিন রাতে তাই মলিন মুখেই ঘরে ফিরে আসেন তিনি। শেষ দিনেও বেচাকেনা হয়নি ভালো।

পটুয়াখালী শহরের কলেজরোড এলাকার নবম লেনের শেষ মাথায় ব্লক পাড়ে স্ত্রী নিয়ে ভাড়াবাসায় বসবাস করেন এ মুড়ি বিক্রেতা।সাধারণত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পছন্দের খাবার ঝালমুড়ি। এছাড়া বিকেলে বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় ছোট ভ্যানে করে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন তিনি। তবে করোনায় এসব দোকানের প্রতি আগ্রহ কমে গেছে মানুষের।

গত বছরের লকডাউনেও অনেক ক্ষতি হয়েছে মেনাজ মুন্সির। খেয়ে না খেয়ে চলতে হয়েছে। বিত্তবানদের সহায়তায় কোনোমতে পার করেছেন সে লকডাউন।তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। পাচ্ছেন না কারো কোনো সহায়তা। ফলে এ রমজান মাসের সেহেরি-ইফতারের খাবার যোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হবে তাকে।

কীভাবে চলবে আগামী দিনগুলো?- তা ভেবেই এখন বিচলিত বৃদ্ধ এ মানুষটি। লকডাউন তার জীবনকে ঠেলে দিয়েছে এক চরম অনিশ্চয়তার দিকে।