সুদের টাকার জন্য গৃহবধুকে মারধর; মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি

সুদি কারবারীর কাছ থেকে চার লাখ টাকা নিয়ে ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করার পরও সুদি কারবারীর দাবীকৃত পাঁচ লাখ টাকা না দেয়ায় ব্যবসায়ীর বসতঘরে গিয়ে গৃহবধুর শ্লীলতাহানী, ব্যবসায়ীর বৃদ্ধা মাকে মারধর ও মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুদি কারবারির হুমকিতে চরম আতংকের মধ্যে রয়েছে পরিবারটি। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর গ্রামের। আজ শনিবার (১৪ই মে) সকালে বাটাজোর গ্রামের হীরালাল দাসের ছেলে পান ব্যবসায়ী

অজিত দাস অভিযোগ করে বলেন, গত পাঁচ বছর পূর্বে লক্ষণকাঠী গ্রামের সুদি কারবারি দাদন সরদারের কাছ থেকে ব্যবসার জন্য চার লাখ টাকা সুদে নিয়ে এ যাবত ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। এরপরও পাঁচ লাখ টাকা দাবী করে আসছিলো সুদি কারবারি দাদন।গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সুদি কারবারি দাদনের দাবীকৃত পাঁচ লাখ টাকা উত্তোলনের জন্য লোকজন নিয়ে তার (অজিত) বাড়িতে আসে দাদন। এসময় তাকে (অজিত) বাসায় না পেয়ে সুদের টাকার জন্য তার স্ত্রী’র হাত ধরে টানা হেচরা করে

শ্লীলতাহানী ঘটিয়ে বাসা থেকে বের করার চেষ্টা চালায়।তিনি আরও জানান, শুধু শ্লীলতাহানী ঘটিয়েই ক্ষ্যন্ত হয়নি সুদি কারবারি দাদন সরদার। এমনকি তার ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মাকে মারধর করে মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন এসে সুদি কারবারীর হাত থেকে পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করে। সুদি কারবারির হাত থেকে রক্ষায় তিনি (অজিত) প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, অজিত দাসের বাড়িতে

ডাক চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি লোকজন নিয়ে নারীর হাত ধরে টানা হেচরা করতেছে সুদি ব্যবসায়ী দাদন। এমনকি টাকা না দিলে অজিতের মেয়ে-ছেলেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে লোকজন নিয়ে চলে যায় সুদি কারবারি। বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ আব্দুল মান্নান জানান, সুদের টাকার জন্য একটি পরিবারের সাথে এরকম আচরন কাম্য নয়। ঘটনার সময় ভুক্তভোগি পরিবারটি ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে

বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে দাদন সরদার জানান, ধার বাবদ পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছে অজিত দাস। এ যাবত তাকে মাত্র ৭০ থেকে ৮০ হাজার দিয়েছে। বাকি টাকা না দেয়ার জন্য মিথ্যে রটাচ্ছে।গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন জানান, এ বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।