সারা গ্রামের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে অভিসারে প্রেমিক!

ভালবাসা এবং যুদ্ধে সবকিছু ঠিক। ১৫৭৮ সালে ব্রিটিশ কবি জন লিলি তার ‘ইউফুয়েজ’ কাব্যগ্রন্থে লিখেছিলেন কথাটি, যা প্রমাণ হলো আরেকবার।ঘটনাটি ভারতের বিহারের পূর্ণিয়া জেলার গণেশপুর গ্রামের। বেশ কিছুদিন ধরে সন্ধ্যা হলেই গণেশপুর বিদ্যুৎহীন হয়ে যাচ্ছিল। প্রথমে বিষয়টি গুরুত্ব দেননি কেউ। পরে গ্রামবাসীরা দেখেন পাশের গ্রামে

বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও গণেশপুরে অন্ধকার নেমে আসছে।সন্দেহ হতেই খোঁজ নিতে শুরু করেন গ্রামবাসীদের কয়েকজন। সেই তদন্তেই যা বেরিয়ে এলো, তাতে চোখ কপালে উঠে সবার।গ্রামবাসীরা জানতে পারেন, গণেশপুরে বিদ্যুৎ না থাকার পেছনে সরকারি দপ্তরের কোনও গাফিলতি নেই। বরং প্রতিদিন ইচ্ছাকৃত ভাবে তাদের গ্রামকে

বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়। আর সেই কাজটি করেন এক ইলেকট্রিশিয়ান।আসলে গণেশপুরে ওই ব্যক্তির প্রেমিকা থাকেন। ঠিক সন্ধ্যাবেলা সবার অলক্ষ্যে ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। আর গ্রামে ঢোকার আগেই পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিতেন। অন্ধকারে জমিয়ে চলতো তাদের প্রেমপর্ব।তবে এই যুগলকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। অভিযুক্ত ইলেকট্রিশিয়ানকে মারধরও করা হয়। এরপর গ্রাম প্রধানের উপস্থিতিতে দুজনকেই বসতে হয় বিয়ের পিঁড়িতে।সূত্র: জিনিউজ

আরও পড়ুন= প্লাস্টিকের বস্তা তৈরীর কারখানা করে সফল হয়েছেন জয়পুরহাটের উদ্যোক্তা মাহমুদুল হক। নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি তার কারখানায় কর্মসংস্থান হয়েছে অসহায় বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও বেকার যুবকসহ প্রায় দেড়শ শ্রমিক-কর্মচারীর। আর এখানকার উৎপাদিত হরেক রকমের প্লাস্টিকের বস্তা জেলার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।জানা গেছে, চীনে নারী শ্রমিকদের নিয়ে এমন একটি কারখানা দেখে উদ্বুদ্ধ হন মাহমুদুল হক। এরপর অসহায় বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে তিনি ২০১৩ সালে জয়পুরহাটের পুরানাপৈল ইউনিয়নের গতনশহর এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন প্লাস্টিকের বস্তা উৎপাদনের কারখানা ‘হক বাংলা টেক’।

প্রথমে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ জন নিয়ে শুরু করেন এ কারখানার উৎপাদন কাজ। এরপর পর্যায়ক্রমে এতে কর্মসংস্থান হয়েছে দেড়শ অসহায় গরীব মানুষের। ছোট একটি জেলায় এমন একটি প্রতিষ্ঠানে স্বপ্ন দেখাচ্ছে বেকার যুবকদের। বর্তমানে এ কারখানায় বেশিরভাগ কাজ করছে বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও অসহায় নারীরা। অভাবের সংসারে একটি চাকরি যেন বদলে দিয়েছে তাদের জীবন-জীবিকা।নিরাপত্তা বিভাগের কর্মচারী জাকিয়া সুলতানা বলেন, আমার স্বামী নাই, দুই সন্তান আছে। খুব কষ্টে সংসার চলতো। এ কারখানার কথা শুনে আমি এখানে চাকরির জন্য আসছিলাম। এখন আমি এখানে চাকরি করে খুব ভালভাবে চলছি। শ্রমিক আফরোজা বেগম বলেন, ৪ বছর আগে আমার স্বামী মারা গেছে। এর ৬ মাস পর্যন্ত আমি মানবেতর জীবনযাপন করছিলাম। এখানে চাকরি হওয়ার পর থেকে আমার কষ্ট দুর হয়েছে। আমার মেয়ে এবারে এইচএসসি পাশ করেছি। তাদের নিয়ে সুখেই আছি।