সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম হাসপাতালে

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বুধবার (১১ মে) দুপুরে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন সকালে তাকে হাসপাতালের ভিভিআইপি কেবিনে ভর্তি করা হয়। তবে মঙ্গলবার (১০ মে) রাজশাহীতে যান তিনি।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম ইয়াজদানী বলেন, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের অবস্থা এখনও স্থিতিশীল নয়। বুধবার সকালে তার প্রায় ১০ বার পাতলা পায়খানা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভর্তির পর তাকে প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিয়েছে। ব্লাড প্রেশার কমে গেছে। এ কারণে আইসিইউ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন= জোয়ারে পদ্মানদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ধান খেতে পানি জমেছে তার উপর আসানি ঝড়ের প্রভাবে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ঢাকার দোহারের ধানখেতগুলোতে পানি জমে চরম বিপাকে পড়েছে কৃষকেরা। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। অনেকেই আধা পাকা ধান কাটছেন পচে যাওয়ার ভয়ে। শ্রমিক সংকটের কারণে তাঁরা ধান দ্রুত ঘরে তুলতে পারছেন না। এতে তলিয়ে যাওয়া ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।

কালবৈশাখীতে দোহারের প্রায় সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমির উঠতি বোরো ধানের গাছ নুয়ে পড়েছে। এতে ফলন কমসহ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। এছাড়া ধান কাটা শ্রমিকের সংকটে পড়েছেন তাঁরা। কোথাও শ্রমিক পেলেও দিতে হচ্ছে চড়া মজুরি। জন প্রতি এক হাজার একশ’ থেকে এক হাজার তিনশ’ টাকা মজুরি দিতে হচ্ছে। অনেকেই বেশি মজুরি দিয়ে শ্রমিক নিচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলার মৌড়া, জালালপুর, আড়িয়াল বিল, কোঠাবাড়িরচক, চরকুশাইচক, মাহমুদপুরের চক, শিলাকোঠারচক, ধৌয়াইরের চক, নয়াবাড়ির চকসহ আবাদি জমিতে বোরো ও আউশের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাঁকা ধানের সোনালি শিষ যেন হাতছানি দিচ্ছিল। নতুন ধানের ম-ম গন্ধে মুখর গ্রামের

পর গ্রাম। আশায় বুক বেঁধেছিলেন কৃষকেরা। ধান কাটার আর কটা দিন বাকি মাত্র। ঠিক তার আগ মুহূর্তে প্রথমে উপজেলার মাহমুদপুর, কুসুমহাটি ও বিলাশপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে পাকা ও আধা পাকা ধান। তার রেশ কাটতে না কাটতে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঈদের দিন থেকে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ধানের খেত।