সন্তান হত্যার বিচার চাইতে হাইকোর্টে মা

সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে গত ১১ অক্টোবর পুলিশের নির্যাতনে মৃত্যুবরণ করেন রায়হান আহমেদ। এরপর গত ১৩ অক্টোবর রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। আর এরই ধারাবাহিকতায় বিচারিক তদন্ত চেয়ে করা রিট আবেদনের পক্ষভুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন রায়হানের মা সালমা বেগম।

গত রবিবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন করেন তিনি। আদালতে সালমা বেগমের আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমদ। ফয়েজ উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে আজ শুনানি হতে পারে।

প্রসঙ্গত, নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ইনচার্জ আকবর হোসেনের নেতৃত্বে গত ১১ অক্টোবর রায়হানের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। প্রাথমিকভাবে তদন্ত কমিটি রায়হানের ওপর পুলিশ নির্যাতনের সত্যতা পেয়েছে।

আরও পরুন=ফরাসি ম্যাগাজিন শার্লি এবদো কর্তৃক বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলো হেফাজতে ইসলাম। আর এরপর সোমবার সকাল থেকেই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় জড়ো হতে থাকেন মুসল্লিরা এবং একসময় এই কর্মসূচিতে ঢল নামে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের। মতিঝিল-পল্টন এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। এমনকি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরাও মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। ইতোমধ্যে এ সমাবেশের ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ফেসবুকজুড়ে প্রশংসা কুড়োচ্ছো এই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ।

বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ তার ফেসবুক স্টাটাসে লিখেছেন, ‘‘শেষ কবে বাংলাদেশ এত বৃহৎ জনসমাবেশ হতে দেখেছেন? এমনকি বিএনপি-আওয়ামী লীগের মত বড় রাজনৈতিক দলেরও এমন সমাবেশ শেষ কবে দেখেছেন?”

স্টাটাসে তিনি আরও লিখেছেন “ও হ্যাঁ, এটা কিন্তু বিরানির প্যাকেট বা শেরাটনের খাবারের লোভে আসা সমাবেশ নয়, খাই খরচ, রাহা খরচ, কামলা খরচ দিয়ে আনা লোকের সমাবেশ নয়; রসুলের প্রেমে, রসুলের(সা.) অসম্মানের প্রতিবাদে নিজের জান, মাল ও শ্রম খরচ করে আসা লোকের সমাবেশ। এত লক্ষ লক্ষ লোকের সমাবেশ, অথচ কি শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হল!! এটাই ইসলাম, এটাই বাংলাদেশ, রসূল (সা.) প্রেমী মানুষের বাংলাদেশ, এটাই বাংলাদেশের ইসলাম। যারা বোঝে না, বুঝতে চায় না, সেটা তাদের সীমাবদ্ধতা। কিন্তু বাংলাদেশে থেমে থাকবে না!’’

পুলিশদের প্রশংসা করে আবুল হাসানাত কাসিম লিখেছেন, ‘‘জনগণ ও প্রশাসনের সম্মিলিত, শান্তি ও সম্প্রীতিপূর্ণ আজকের সমাবেশ ছিল স্মরণকালের সবচেয়ে সুন্দর আর পরিপাটি। পুলিশ ভাইদেরকে দেখেছি- আল্লাহু আকবারের শ্লোগানে আমাদের সাথে যোগ দিতে।’’