সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছিলাম: পরীমণি

এমন অসুস্থ সম্পর্ক আর টিকিয়ে রাখতে চাই না। রাতেই রাজের বাসা থেকে বের হয়ে এসেছি। ওর সঙ্গে আর থাকা হবে না। তবে এখনও বিচ্ছেদ হয়নি। বিচ্ছেদের চিঠি শিগগিরই পাঠিয়ে দেবো’- অভিনেতা শরিফুল রাজের সঙ্গে সংসার না করার প্রসঙ্গে এভাবেইবলছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি।গত ১০ জানুয়ারি রাজ-পরীর সম্পর্কের খবর প্রথম জানাজানি হয়। পরে ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে

১০১ টাকার দেনমোহরে ঘরোয়া আয়োজনে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। তার আগেরদিন হয় গায়েহলুদ। এ বছরই তাদের পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।কিন্তু পুরো বছর না যেতেই পরীমণি বললেন, তাদের একসঙ্গে আর থাকা হচ্ছে না, বিচ্ছেদের কাগজ স্বামী রাজকে পাঠাবেন শিগগিরই।আলাদা হয়ে যাওয়ারর বিষয়ে পরী বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই আমাদের সমস্যা হচ্ছিল। সমস্যা কাটিয়ে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে

থাকার চেষ্টা করেছি, পারলাম না। তার আচার-আচরণে একসঙ্গে থাকার পরিস্থিতি নাই। তাই বাধ্য হয়ে বাসা ছেড়ে আলাদা হয়ে গেলাম। আমার মনমানসিকতা এখন ভালো নাই, এর বেশি আর কিছু বলতে পারছি না।’এর আগে শুক্রবার রাত ১২টা ৫০ মিনিটে দেয়া এক পোস্টে পরীমনি লেখেন, ‘হ্যাপি থার্টিফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ

সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নেই।’পরী-রাজের এই সংকট অবশ্য বেশ আগের। এরই মধ্যে ২২ ডিসেম্বর পরীমনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দুটি ছবি পোস্ট করেন। ছবিতে পরীকে হাতের আঙুলে ব্যথা পাওয়ার মতো অবস্থায় দেখা যায়। পরী সেই ছবির ক্যাপশন দিয়েছিলেন ‘গিফট’ ।

বিষয়টি নিয়ে কেউ কোনো কথা না বললেও গুঞ্জন আছে, পরীর আঙুলে সেই আঘাত রাজের কারণেই।গত ৯ নভেম্বর রাতে পরীমনি তার ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দিয়ে রাজ ও অভিনেত্রী মিমের সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। পরে যদিও রাজ-পরীকে একসঙ্গে বেশ ভালোভাবেই দেখা গেছে। বিশ্বকাপ ফুটবলে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমর্থন নিয়েও খুনসুটি করেছেন রাজ-পরী।