সন্তানদের বাবার অভাব আমি পূরণ করতে পারিনি : সালাউদ্দিনের স্ত্রী

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে জঙ্গিরা গুলশানের হলি আটির্জানে ঢুকে এর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর আসলে কী হচ্ছে তা বুঝতে শুরুতে কিছুটা সময় লাগে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। পরিস্থিতি বুঝতে পুলিশের যে দলটা শুরুতে ঘটনাস্থলের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে সেই দলে ছিলেন বনানী থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন। জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন তিনি।

আজ হলি আর্টিজান হামলার ও ওসি সালাউদ্দিনের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে দীপ্ত শপথ ভাষ্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সালাউদ্দিনের স্ত্রী রেমকিম সাংবাদিকদের বলেন, শত চেষ্টা করেও সন্তানদের বাবার অভাব তিনি পূরণ করতে পারছেন না।হলি আর্টিজান হামলায় ওসি সালাউদ্দিন ছাড়াও নিহত হন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রবিউল। তাদের স্মরণে গুলশান মডেল থানার সামনে দীপ্ত শপথ নামে এই দুই অফিসারের ভাষ্কর্য বানানো হয়। প্রতি বছর হলি আর্টিজানের হামলার বার্ষিকীতে দীপ্ত শপথ ভাষ্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় তাদের স্মরণে।

ওসি সালাউদ্দিনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় ওসি সালাউদ্দিন মারা যাওয়ার সময় তার মেয়ে পড়তো সপ্তম শ্রেণিতে, আর ছেলে কেজি টু পাস করেছিল। ছয় বছর পর মেয়ে এখন দেশের বাইরে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন আর ছেলে রাজধানীর একটি স্কুলে পড়ছে ক্লাস সিক্সে।ওসি সালাউদ্দিনকে তার সন্তানরা সব সময় মিস করে জানিয়ে রেমকিম বলেন, দুই ছেলে মেয়ে প্রতিমুহূর্তে তাদের বাবাকে মিস করছে। বাবার জায়গাটা আমি মা হয়ে শত চেষ্টা করেও ফিলাপ করতে পারি না। বাবাকে মিস করে না এমন কোনো দিন দেখিনি।

তিনি বলেন, ‘মৃত্যুবার্ষিকী আসছে বলে যে আমরা মিস করছি, সেরকম না। প্রতিদিনই আমরা একইরকমভাবে মিস করি। আমার বাচ্চারা কীভাবে যে বেড়ে উঠেছে…।’এদিকে হলি আর্টিজানে হামলার ছয় বছর পূর্তিতে শুক্রবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিএমপির পক্ষ থেকে কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, র‌্যাবের পক্ষ থেকে মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ওসি সালাউদ্দিনের পরিবার এবং বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ সদস্যরা ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।