শ্রমিক নেই, ব্যবসা চালাতে হিমশিম খাচ্ছে কাতার

করোনাকালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে দেশে ছুটিতে গিয়ে আটকা পড়েন বহু প্রবাসী। বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা কর্মস্থলে ফিরতে পারলেও কাতার থেকে বাংলাদেশ ছুটিতে যাওয়া অধিকাংশই ফিরতে পারেনি কর্মস্থলে।আটকাপড়া এসব প্রবাসীদের ফেরাতে বাংলাদেশ সরকার ও দূতাবাসকে আরও উদ্যোগী হতে অনুরোধ জানিয়েছেন দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

এক বছরের বেশি সময় ধরে পৃথিবীজুড়েই চলছে মহামারি করোনার তাণ্ডব, এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন দেশে ছুটিতে যাওয়া কাতার প্রবাসীরা। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বরের আগে দেশে ছুটিতে যাওয়া অধিকাংশ কাতার প্রবাসী এখনো ফিরতে পারেনি কর্মস্থলে।ইউনুচ মজুমদার নামে এক প্রবাসী বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ১৩ মাস বাংলাদেশ ছুটিতে গিয়ে করোনা কারণে আটকা পড়েছিলাম। অনেক কষ্টের বিনিময়ে আমি রিটার্ন পার্মিট পেয়েছি। ১৩ মাস পরে কাতার আসছি। আমার মতো অনেক প্রবাসী দেশে এখনো আটকাপড়া পড়েছেন’।

তিনি বলেন, অনুমতিপত্র না পাওয়ায় তারা আসতে পারছে না। দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকারের উচিত তাদের সহযোগিতা করা। তারা যেন দ্রুত কাতার ফিরে আসতে পারে। আটকাপড়া মানুষগুলো দেশে মানবতার জীবনযাপন করছে।ইমতিয়াজ মোরশেদ নামে আরেক কাতার প্রবাসী ব্যবসায়ী বলেন, আমার কোম্পানির দুইশোজনের বেশি বাংলাদেশি এখনো আটকা পড়েছেন বাংলাদেশে।

তিনি বলেন, কাতার থেকে ছুটিতে যাওয়া বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের কাতার ফিরে আসতে রিটার্ন পার্মিট পেলেও বাংলাদেশ থেকে আসার অনুমতিপত্র বা রিটার্ন পার্মিট দেয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশ সরকার ও কাতার দূতাবাসকে কূটনৈতিকভাবে আরও তৎপরতা চালিয়ে আটকা প্রবাসীদের কাতারের কর্মস্থলে ফেরাতে আহ্বান জানান।

কাতার প্রবাসী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বরের আগে আমার কোম্পানি ও দোকানের অনেক শ্রমিক দেশে ছুটিতে গিয়ে আটকাপড়ে আছেন।তিনি বলেন, ‘এসব দক্ষ শ্রমিকরা আটকাপড়ায় কোম্পানি ও দোকান চালাতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা শ্রমিক সংকটে আছি, আমাদের শ্রমিক সংকট সমাধানে আটকাপড়া প্রবাসীদের কাতারে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চাই’।

বর্তমানে কাতার থেকে ছুটিতে যাওয়া প্রবাসীদের ফিরে আসার অটোমেটিক অনুমতিপত্র থাকলেও শুধুমাত্র ২০২০ সালে ২৯ নভেম্বরের আগে দেশে ছুটিতে যাওয়া প্রবাসীদের ফিরে আসার অনুমতি শর্তসাপেক্ষে করে রাখা হয়েছে। অনুমতি শর্তসাপেক্ষে করে রাখায় ফিরতে পারছেন না প্রবাসীরা।