শর্ত সাপেক্ষে ১৫ দিনের জন্য খুলছে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

করোনা মহামারী কাটিয়ে অবশেষে খুলতে যাচ্ছে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অন্তত ১৫ দিনের জন্য হলেও খুলে দেয়ার কথা ভাবছে সরকার। মাধ্যমিকের মত প্রাথমিকেও সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়নের আজ চলছে বলেও জানা গেছে।

করোনা মহামারীর কারনে মাধ্যমিক পর্যায়ে সকল প্রকার বার্ষিক পরীক্ষা বাতিল করে দেয়ার ঘোষণা এসেছিল বেশ আগেই। তবে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ণের ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের মাধ্যমে অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে এরপর এক মাসের মধ্যেই পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করে দেয়া হবে শিক্ষার্থীদেরকে। মাধ্যমিকের সেই পন্থা এবার প্রাথমিক বিদ্যালয়েও প্রণয়ন করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা বাতিল করে দেয়ার পর অন্তত ১৫ দিনের জন্য হলেও স্কুল খুলে শিক্ষার্থীদেরকে মূল্যায়নের নতুন পথ অবলম্বন করা হবে। তবে সেটা এখনও নির্ভর করছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা জোরদার করা যাবে সেটার উপরে। গণমাধ্যমে প্রকাশিৎ খবর অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের মৌলিক সক্ষমতা যাচাই করার জন্য ৩০ দিনের একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হচ্ছে। বিদ্যালয় খোলা হলে ওই সিলেবাসের মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হবে।

জতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমির (ন্যাপ) একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, ৩৯ দিনের একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করার কথা ছিল প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য। তবে সেটা তৈরি করা হত যদি ৩০ অক্টোবর স্কুল খোলা সম্ভব হত। যেহেতু ছুটি ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বেড়েছে তাই এই সিলেবাস ৩০ দিনের জন্য করা হবে।জানা গেছে আগামী ১৫ নভেম্বর থেকেই দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার কথা রয়েছে। যদি শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব না হয় তাহলে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পদ্ধতিতেই শিক্ষার্থীদেরকে পরের ক্লাসে উত্তীর্ণ করে দেয়া হবে।

ন্যাপের মহাপরিচালক মো. শাহ আলম সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘’করোনার মধ্যে প্রাথমিকের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করার কাজ আমরা আগেই শুরু করেছিলাম। তবে নতুন করে কয়েক দফায় ছুটি বাড়ানোর কারণে এখন আমরা ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু

করেছি। এখানে বিশেষজ্ঞ লোকজন নিয়ে কাজ করছি। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই প্রাথমিকের প্রতিটি ক্লাসের সব বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো যুক্ত করে শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণের সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যে নতুন করে এ সিলেবাস তৈরি হচ্ছে। নতুন সিলেবাসটি আগামী সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানো হবে।‘’