মালয়েশিয়ায় হিমাগারে লাশ, শেষবার স্বামীর মুখ দেখতে চান স্ত্রী

ময়মনসিংহের ফুলপুরের আবু সায়িদ (২৮) নামে এক প্রবাসী শ্রমিকের মরদেহ পাঁচ দিন ধরে মালয়েশিয়ার একটি হিমাগারে পড়ে আছে। তার মরদেহ দেশের আনার ব্যাপারে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী হাসিনা খাতুন। একনজর স্বামীর মুখ দেখার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তিনি।

আবু সায়িদ উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের শামসুল হকের ছেলে। তিনি মালয়েশিয়ার একটি পামগাছের বাগানে বেকু ট্রাকের কাজে কর্মরত ছিলেন। আবু সায়িদের ১০ মাস বয়সী কন্যা শিশু আছে।তার স্বজনরা জানান, গত ৮ জুন সকালে নিজ বাসা থেকে মালয়েশিয়া পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর থেকে তার মরদেহ হিমাগারেই আছে। কিন্তু দেশে আনার ব্যাপারে সইশ্লষ্ট কেউ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তারা।

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে মৃত আবু সায়িদের স্ত্রী হাসিনা খাতুন জানান, আবু সায়িদ ২০১৪ সালে সরকারিভাবে লটারিতে মালয়েশিয়া যান। ২০১৯ সালে তিন মাসের ছুটিতে বাড়িতে এসে বিয়ে করে আবারও মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। কিছুদিন আগে পরিবারের কাছে তার অসুস্থতার খবর জানান সায়িদ। এরপর হঠাৎ করে গত ৮ জুন মালয়েশিয়ার নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মালয়েশিয়া থেকে তার সহকর্মী জানিয়েছেন আবু সায়িদ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্টদের অসহযোগিতার কারণে আমার স্বামীর লাশ দেশে আনতে পারছি না। আমার স্বামীর মুখ শেষবারের মত দেখতে চাই। সরকার যেন তার মরদেহ দেশে আনতে সহায়তা করেন।’