রাজাকারদের সঙ্গে এক থালায় ভাত খাওয়ার দিন শেষ: ইনু

ঢাকা: রাজাকারদের সঙ্গে এক থালায় ভাত খাওয়ার দিন শেষ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘বর্তমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে করণীয়’শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বিএসডি)।ইনু বলেন, খুনি রাজাকারদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির এক থালায় ভাত খাওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু এ প্রস্তাবের কোনো প্রশ্নই আসে না।

রাজাকারদের সঙ্গে এক থালায় ভাত খাওয়ার দিন শেষ। রাজাকারদের সঙ্গে জেনারেল জিয়া এবং খালেদা জিয়া এক সঙ্গে ভাত খায়। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের কোনো শক্তি এক থালে ভাত খেতে পারে না। সে কারণে ১০ দফা বা ২৭ দফা দাবি হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে রাজাকারদের ফিরিয়ে আনার এবং পুনর্বাসন করার জঘন্য প্রস্তাব। তিনি আরও বলেন, বিএনপি এ ২৭ দফার কালো দলিল হচ্ছে জামাইয়ের জঙ্গিসহ সব রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে তারা সরকার গঠন করবেন। আমাদের জান থাকতে মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষের শক্তির বিকল্প কোন

রাজাকার ক্ষমতায় আসতে পারে না। সুতরাং নির্বাচন যথাসময়ে করতে হবে এবং রাজাকারদের ক্ষমতা পুনর দখলের অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে। পাশাপাশি বাজারস সিন্ডিকেটসহ দুর্নীতির সিন্ডিকেট ধ্বংস করতে হবে। এ কারণেই ২০২৩ সালকে আমরা কঠিন এবং সংকটকাল সাল হিসেবে দেখব। আর এ ১৪ দল হচ্ছে সংকট মোকাবিলার সবচেয়ে বড় ঢাল।নির্বাচনকে সামনে রেখে চক্রান্ত চলছে উল্লেখ করে ইনু বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন এক বিপদ দেখছি। আর সেই বিপদটা হচ্ছে, নির্বাচন গণতন্ত্রের কথা বলছে কিন্তু কতিপয় মহল নির্বাচনের আগেই সরকার

উৎখাতের চক্রান্ত করছে। এ সরকার উৎখাতের চক্রান্তের আড়ালে আমরা দেখছি রাজাকার, জঙ্গি এবং জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক চক্র পুনর্গঠিত হচ্ছে এবং এদিক ওদিকে হামলা করার চেষ্টা করছে। সুতরাং দেশে একদিকে গণতন্ত্রের ভিত্তির উপর হামলার চক্রান্ত এবং সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মারার দুর্নীতিবাজদের চক্রান্ত হচ্ছে। এ বিপদ আপদ সামনে নিয়ে আমরা ২০২৩ সাল শুরু করতে যাচ্ছি এবং ২০২৪ সালে আমরা ভোট করতে যাচ্ছি।

আলোচনা সভাটির সভাপতিত্ব করেন বিএসডি’র কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক কমরেড রেজাউর রশীদ খান। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, বিএসডি’র কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহমদ মুক্তা ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুকী।