যে কারণে বদলি হলেন সারোয়ার আলম!

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমকে বদলি করা হয়েছে। সোমবার তাকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে বদলি করা হয়। গত ৬ বছর ধরে সারোয়ার আলম আলোচিত ছিলেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অভিযান যেমন, ক্যাসিনো বাণিজ্য, হাসপাতালের অভিযান এবং সর্বশেষ তিনি ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান পরিচালনা করেন।

এসব অভিযানের মাধ্যমে তিনি আলোচিত হয়েছিলেন। ২৭ তম বিসিএস এর এই কর্মকর্তাকে এখন কেন বদলি করা হলো এ নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, সারোয়ার আলমকে বদলি করার বিষয়টা সরকারি চাকরির বিধিবিধানের আওতায় হচ্ছে। কারণ ৬ বছর একটি পদে কর্মরত আছেন সারোয়ার। কাজেই স্বাভাবিক বদলির রীতি অনুসরণ করে সারোয়ার আলমকে বদলি করা হয়েছে।

জনপ্রশাসনের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, একজন জেলা প্রশাসক ৩ থেকে সাড়ে তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন কাজেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে একজন কর্মকর্তার ৬ বছর দায়িত্ব পালন করাটা অনুচিত। তবে অনেকেই মনে করছেন যে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করেছেন, বিশেষ করে হাসপাতালের অভিযানের কারণে কেউ তার ওপরে রুষ্ঠ হলো কি না।

আমরা এর আগেও দেখেছি এ ধরনের অভিযান শুরু করেছিলেন রোকনউদ্দৌলা। তিনি যখন ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন তখন অবৈধ স্থাপনা, ভেজাল খাবারসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য ব্যাপক আলোচিত হয়েছিলেন। সেসময় তাকেও অন্যত্র বদলি করা হয়েছিলো। এরপর আমরা দেখি মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী।

তিনি বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে বেশ সোচ্চার ছিলেন এবং তিনিও বদলি হন। তার পরেই সারোয়ার আলমের নাম আলোচনায় আসে। তবে সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তারা বলছেন, বদলি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। র‌্যাবে যেহেতু নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পদ আছে তাই সেখানে আরেকজনকে দায়িত্ব দেয়া হবে। তিনিও নিশ্চই দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।