ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমকে বদলির বিষয়ে যা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বাভাবিক নিয়মেই র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমকে বদলি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।২৭তম বিসিএস ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা সারওয়ারকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব হিসেবে বদলি করে সোমবার রাতে আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকরা বদলির পেছনে কোনো কারণ আছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হেসে বলেন, “নেপথ্যে কোনো কারণ নেই। সরকারি কর্মকর্তা….. আজকে এখানে যেমন, আমার পিআরও সাহেব (জনসংযোগকর্মকর্তা) এখানে আছেন কালকে উনি অন্যখানে চলে যেতে পারেন- এটিই নিয়ম। “ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব কেন?… হয়তো অনেকদিন ধরে এখানে (র‌্যাব) ছিলেন। সে হয়তো আরো ভালো জায়গায় যাবেন, আরো ভালো করার জন্য অন্য জায়গা বদলি করবেন। এজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাকে বদলি।”

প্রায় ছয় বছর ধরে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আলোচনায় ছিলেনসারওয়ার।গত বছর ক্যাসিনো বন্ধে অভিযান চালানোর পর করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে হাসপাতালগুলোতে চলা অভিযানের নেতৃত্বেও ছিলেন তিনি। সম্প্রতি সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের বাড়িতে অভিযানেও নেতৃত্ব দেন সারওয়ার আলম। হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে দেড় বছরের সাজাও দেন তিনি।

সর্বশেষ গত শনিবার মোহাম্মদপুরে তিনি তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে অনিয়ম পেয়ে জরিমানা করেন।সারওয়ারও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পাঁচ বছর র‌্যাবে কর্মরত, তাই এ বদলি নিয়মিত বদলি।” এদিকে আদাবর ‘মাই’ন্ড এইড’ হাসপাতালে পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিমের হ-ত্যাকা-ণ্ডের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বি’চার করা হবে।

“তারা কীভাবে এই হাসপাতাল চালাচ্ছিল আমি শুনেছি, এখনও নিশ্চিত নই; এই হাসপাতালের অনুমোদন যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নেয়নি। সবকিছু তদন্তের পরেই আমরা কথা বলতে পারব।” হাসপাতলে অভিযানের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় নির্দেশনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “হাসপাতাল অনুমোদিত না হলে আইনে কি হয় তা আপনারা জানেন।অননুমোদিত হাসপাতাল যেগুলো, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেগুলো শনাক্ত করে ধরার চেষ্টা করছে এবং তা এখনো অব্যাহত আছে।”

তিনি বলেন, “আমাদের কাছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যে নির্দেশনাটা আসছে- সেটা হলো যখন জানতে পারবে অননুমোদিত হাসপাতাল সম্পর্কে। তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানাবে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সঙ্গে নিয়ে এই অভিযানগুলো চালানোর কথা। এ ধরনের হাসপাতাল শনাক্ত হওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন যোগ্য প্রতিনিধি নিয়ে অভিযান চালাবে এমন একটা নির্দেশনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “এই আদেশের ফলে আমি মনে করি স্বচ্ছতার সঙ্গে অভিযানগুলি চলবে। এতে কোনো অসুবিধা হবে না। অভিযান চালানোর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না।”