মায়ের ইনজেকশন পুশ করা হলো নবজাতককে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আদি ডাচ-বাংলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালে মায়ের ইনজেকশন ভুল করে এক নবজাতকে পুশের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই নবজাতকের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে।এ ঘটনায় রোববার (৮ মে) বিকেলে নবজাতকের বাবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জেলা সিভিল সার্জন ও সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের জেল রোডের ওই বেসরকারি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাপুইর গ্রামের সুজন আকবরের স্ত্রী সাদিয়া আক্তার গত শুক্রবার (৬ মে) রাতে জেলা শহরের আদি ডাচ-বাংলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেন। এর পরদিন সন্ধ্যায় সিজারিয়ান করা চিকিৎসক প্রসূতির জন্য একটি ইনজেকশন ব্যবস্থাপত্রে লিখে দেন। কিন্তু হাসপাতালের এক নার্স ইনজেকশনটি মাকে না দিয়ে নবজাতককে পুশ করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে শহরের আরেকটি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে নবজাতকটি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে নবজাতকের বাবার সঙ্গে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল মিয়া দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।জানতে চাইলে আদি ডাচ-বাংলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল মিয়া জাগো নিউজের প্রতিবেদকের কাছে নবজাতককে ভুল করে ইনজেকশন পুশের বিষয়টি স্বীকার করেন।তিনি বলেন, ঘটনার পরপর হাসপাতালে পুলিশ ও শিশুর পরিবারের লোকজন আসে। শিশুটিকে অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এই ঘটনার পর অভিযুক্ত নার্সের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে, তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।নবজাতকের বাবা সুজন আকবর জাগো নিউজকে বলেন, চিকিৎসাক্ষেত্রে সঠিক হাসপাতাল বাছাই করা খুব জরুরি। হাসপাতাল বাছাইয়ে আমার ভুল হয়েছে। আমার নবজাতক মৃত্যুশয্যায় আছে। এ ঘটনায় থানায় ও সিভিল সার্জন অফিসে অভিযোগ দিয়েছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. একরামউল্লাহ জাগো নিউজকে অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, আজ বিকেলেই আমরা লিখিত অভিযোগটি পেয়েছি। এ বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন জানান, আদি ডাচ-বাংলা হাসপাতালের চিকিৎসা সংক্রান্ত একটি ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।