বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে দুই সন্তান রেখে প্রবাসী স্বামীর টাকা-গহনা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও আকলিমা বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূ।এ নিয়ে সোমবার (২৮ মার্চ) রাতে আকলিমার শাশুড়ি হালিমা বেগম বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।আকলিমার প্রেমিকের নাম আব্দুল আল খালিদ (৩০)। তিনি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বাড়ইপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রেহমানের ছেলে। প্রবাসী হোসেন মিয়া (৩৫) উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের টান কৃষ্ণনগর গ্রামে ছাদেক মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তিনি লিবিয়া আছেন। এর আগে ১২ বছর সৌদি আরবে কর্মরত ছিলেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হোসেন মিয়ার সঙ্গে শিমূলকান্দি ইউনিয়নের গোছামারা গ্রামের সালাম মিয়ার মেয়ে আকলিমা বেগমের ১২ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তাসনিম হোসেন (১১) নামে একটি মেয়ে ও তাজিম হোসেন (৭) নামে একটি ছেলে আছে। বর্তমানে লিবিয়া প্রবাসী হোসেন মিয়া আগে ১২ বছর সৌদি আরব থেকেছেন। বিয়ের পর বিশ্বাস করে স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আয়ের টাকা পাঠাতেন।

কয়েক বছর হলো তিনি সন্তানদের ভালো লেখা-পড়ার কথা চিন্তা করে গ্রামের বাড়ি ছেঁড়ে স্ত্রী-সন্তানদের ভৈরব শহরের ভৈরবপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় রাখা শুরু করেন। এরই মধ্যে এক নিকটআত্মীয়ের মাধ্যমে পরিচয় হওয়া আব্দুল আল খালিদের সঙ্গে। ধীরে ধীরে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানার পর হোসেন মিয়া আকলিমাকে বার বার সতর্ক করলেও থেমে থাকেনি তাদের সম্পর্ক।

বেড়ানোর কথা বলে গত রোববার (২৭ মার্চ) প্রেমিক খালিদের হাত ধরে বাসা থেকে পালিয়ে যান আকলিমা। বাসা থেকে যাওয়ার সময় আকলিমা ২০ লাখ টাকা ও ৮ লাখ টাকা মূল্যের ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কারও নিয়ে যান বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।আকলিমার শাশুড়ি হালিমা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের প্রবাস সময়ের ১২ বছরের আয় তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে বিশ্বাস করে পাঠিয়েছে। গহনা ছিল ১২ ভরি। এ গহনা আলমারিতে নেই। বেড়ানোর কথা বলে সব নিয়ে প্রেমিক খালিদের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। তাদের দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। সন্তানদের রেখে আকলিমা পালিয়েছে। আমি এখন অবুঝ শিশু দুটিকে নিয়ে বিপদে আছি। তারা মায়ের জন্য কান্না করছে।

আকলিমাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত খালিদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ প্রসঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক নই।’ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ জাগো নিউজকে বলেন, গতকাল রাতে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।