বেপরোয়া স্ত্রী নিয়ে বিপাকে সেনা সদস্য

স্ত্রী নি’র্যাতনে ঝালকাঠি জে’লার কাঠালিয়া উপজে’লার আমুয়া ইউনিয়নের আমুয়া গ্রামে মৃ’ত শাহ আলম তালুকদারের পুত্র ল্যান্সঃ কর্পোঃ মোঃ মাকসুদুল্লাহর অ’তিষ্ট হয়ে উঠেছে। ২০০৪ সালে সে’নাবা’হিনীর সৈনিক পদে যোগদান করেন মাকছুদুল্লাহ। চাকরি থেকে বিবাহের আগ পর্যন্ত পরিবার পরিজন নিয়ে খুব সুখে শান্তিতেই দিন কা’টাচ্ছিল।

১৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখ পাশ্ববর্তী জে’লা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজে’লার তুষখালীর পাতাকা’টা গ্রামের মোঃ শাহ আলম হাওলাদারের কন্যা শাহনাজ আক্তার সেতুর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে একটি কন্যা ও একটি পুত্র স’ন্তানের বাবা মাকছুদুল্লাহ। বিবাহের পর থেকেই শুরু হয় দাম্পত্য জীবনে অশান্তির ঝড়। স্ত্রীর অতিরিক্ত লোভ ও প’রকীয়ার কারণে অতিষ্ট হয়ে ওঠে সে’না সদস্য মাকসুদের জীবন। বাচ্চাদের ভবি’ষ্যৎ ও চাকরি হা’রানোর ভ’য়ে কখনোই প্র’তিবাদ করেননি মাকছুদ।

স্ত্রী দিন দিন আরো বে’পরোয়া হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুবার সে’না ক্যাম্পে মাকছুদের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ দা’য়ের করেন স্ত্রী। সেখান থেকেও মাকছুদ দো’ষী প্রমাণ না হওয়ায় আরো বে’পরোয়া হয়ে ওঠেন স্ত্রী। এক সপ্তাহের ছুটি পেয়ে স্ত্রী স’ন্তান নিয়ে মাকসুদ বাড়িতে আসলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সাথে অহেতুক ঝ’গড়ায় লিপ্ত হন স্ত্রী শাহনাজ।

গত সোমবার দুপুর ১২.৩০টার দিকে দেবরের মাথায় কাঁচের পানির গ্লাস ছুঁড়ে মারে শাহনাজ। এতে দেবর ওলিউল্লাহর বাম চোখের পাশ কে’টে গিয়ে প্রচন্ড র’ক্তক্ষরণ শুরু হয়। স্থানীয় লোকজন কাঠালিয়া উপজে’লা স্বা’স্থ্য কমপ্লেক্স (আমুয়া) হাসপাতালে ভর্তি করান। পরক্ষণে ঘটনা বেগতিক দেখে স্ত্রী শাহা’নাজ পা’লিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পথিমধ্যে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাকে ঘরে ফেরানোর চেষ্টা করেন তার স্বামী। এসময় তিনি জ্ঞান হা’রানোর ভান করে মাটিতে লু’টিয়ে পড়েন। এ অবস্থায় স্বামী মাকসুদ ও এলাকার লোকজন পাশ্ববর্তী একটি বাড়িতে নিয়ে চোখে মুখে পানির ঝাপসা দিলে তিনি জ্ঞান ফিরে পায়।

এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে শাহা’নাজের বাবা ও মা এসে উপস্থিত হয়ে স্বামীর বাড়ি গিয়ে ঘরের ফ্রিজ, খাটসহ অন্যান্য মালামাল স্ত্রীর বাবার বাড়িতে নেওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী তালুকদার ও কাঠালিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি উপস্থিত হওয়ায় মালামাল নিতে না পেরে পুনরায় শাহনাজ অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাকে নিয়ে স্থানীয় কাঠালিয়া উপজে’লা স্বা’স্থ্য কমপ্লেক্স (আমুয়া) হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকাল ৫.১০ টায় প্রাথমিক চিকিৎসা করে জ্ঞান ফিরে পেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার জবানব’ন্দী নেন। জবান ব’ন্দিতে স্ত্রী শাহা’নাজ উল্লেখ করেন তার মেরুদন্ডে ও বুকে ব্যাথা এবং তিনি দুপুরে খাবারও খাননি বলে জানান।কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, তেমন কোন জটিল স’মস্যা না, অতিরিক্ত জেদ, রাগ ও গ্যাসের স’মস্যার কারণে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন।এ বি’ষয়ে শাহা’নাজ ও তার বাবা মার কাছে মা’রধরের বি’ষয় জানতে চাইলে তারা কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

শাহা’নাজের দেবর মোঃ ওয়ালিউল্লাহ হাসপাতালের বেডে শুয়ে জানান, ভাবী শাহা’নাজের বে’পরোয়া জীবন যাপনে বা’ধা দেওয়ার কারণে তিনি ক্ষি’প্ত হয়ে কাঁচের গ্লাস আমার মাথা লক্ষ্য করে মারলে গ্লাসটি বাম চোখের পাশে পড়ে। তবে আল্লাহর রহমতে একটুর জন্য চোখটি বেঁচে যায়।শাহা’নাজের শ্বাশুড়ি তাসলিমা বেগম বলেন, দু’দিন হলো বাড়িতে আসছে। আমাকে আমার ছেলে কোন টাকা-পয়সা দিলেই শাহা’নাজ অশান্তি করে। এ বি’ষয়ে যশোর সে’নানিবাসে থাকাকালীন আমার পুত্রের সে’না ক্যাম্পে অ’ভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে আমাকে ডাকা হয়। সবকিছু শুনে তারা কোন মন্তব্য না করে, কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বুঝিয়ে সংসার করার পরামর্শ প্রদান করেন। আমরা গরীব মানুষ। আমার ছেলের চাকরি চলে যাবে বিধায় পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোন প্র’তিবাদ করি না। বিবাহের পর থেকেই আমার পুত্র বধু আমার সংসারে ছিল না। সে আমার ছেলের সাথেই থাকে।

এ বি’ষয়ে শাহা’নাজের স্বামী মোঃ মাকসুদুল্লাহ বলেন, বিবাহের পর থেকেই আমার স্ত্রী বে’পরোয়া চলা ফেরা করে। সে একাধিক প’রকীয়ায় লিপ্ত। এ ব্যাপারে আমি একাধিক প্রমাণ পেলেও কোন প্র’তিবাদ করতে পারি না। প্র’তিবাদ করলে আমার চাকরি থাকবে না বলিয়া হু’মকি দেয়। আমার স্ত্রী একাধিকবার কর্তব্যরত সে’না ক্যাম্পে অ’ভিযোগ করেন। অ’ভিযোগের সত্যতা না পেয়ে আমার সিনিয়র সে’না কর্মকর্তরা বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকিয়ে সংসার করার পরামর্শ দেন। আমি তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সংসার করে আসছি।

আমার মাকে কোন টাকা পয়সা দিতে দিবে না, সেটাও মেনে নিছি। আমি গত ২৪ ফেব্রুয়ারী বিকালে ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়ে আমার স্ত্রী স’ন্তানদের নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যাই। ২৬ ফেব্রুয়ারী স্ত্রী ও ছোট স’ন্তানকে নিয়া আমার বাড়িতে আসি। বাড়িতে আসার পর থেকেই শুধু শুধু ঝ’গড়া করে আসছে আমার স্ত্রী। আমার সেজ ভাই মোঃ ওয়ালিউল্লাহ গত সোমবার আমার স্ত্রীকে ভদ্রভাবে চলার অনুরোধ করলে তার মাথায় একটি গ্লাস ছু’ড়ে মারে।তিনি আরও বলেন পুরুষের কথার কোন মূল্য নাই। নারী চাইলেই মা’মলা করতে পারে। এই নি’র্যাতন থেকে পরিত্রান না পেলে আত্মহ’’ত্যা ছাড়া কোন পথ নেই বলেও জানান তিনিসূত্রঃ বাংলাদেশ টুডে