বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে ভারত থেকে আসছেন বিপুলসংখ্যক মুসল্লি

আগামী শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এতে যোগ দিতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭টি রাজ্যে থেকে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি আসছেন আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে।ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরের ২৬ তারিখ থেকে বুধবার ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত ২২০ জন ভারতীয় মেহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। ভারতীয় মুসল্লিরা আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে বাস কিংবা আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন

থেকে ট্রেন যোগে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে যাচ্ছেন।রাজধানীর নিকটবর্তী টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমাকে সফল করতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, জড়ো হচ্ছেন মুসল্লিরা। শুক্রবার ফজর বাদ আমবয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।

১৫ জানুয়ারি রোববার ১ম পর্বের আখেরি মোনাজাত এবং মাঝে ৪ দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করতে আগের দিন পর্যন্ত আরও বিদেশি মেহমান আসবেন বলে জানিয়েছে ভারত থেকে আগত মুসল্লিরা।আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি মেহমানদের অভ্যর্থনা জানানো, থাকা-খাওয়া ও ঢাকায় পাঠানোসহ সব কাজ দ্রুত করার জন্য তাবলিগ জামায়াতের ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে একটি প্রতিনিধি দল আখাউড়া স্থলবন্দরে অবস্থান করছেন। তারা প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত আগত মুসল্লিদের সার্বিক সহযোগিতা করবেন।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন এলাকায় বিদেশি মেহমানদের নাস্তা-পানি দিয়ে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করছেন। প্রতিদিনই সকাল থেকে স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ আগত মুসল্লিদের এ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে ভারতের আসাম রাজ্যে থেকে আসা মাওলানা আব্দুল করিম জানান, বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পুলিশের আতিথিয়তায় আমরা মুগ্ধ। তাদের আপ্যায়ন ও সহযোগিতা আমাদের মনে থাকবে।আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস জানান, গত বছরের ২৬ নভেম্বর থেকে ১১ জানুয়ারি বিকেল পর্যন্ত এ সীমান্ত দিয়ে ২২০ জন ভারতীয় মেহমান বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে এসেছেন।