বিদায় বেলায় কাঁদলেন সানিয়া মির্জা

ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় এসেও পৌঁছে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে। কিন্তু শিরোপা জয় করতে পারলেন না সানিয়া মির্জা।রোহান বোপান্নার সঙ্গে জুটি বেঁধে খেলা এই ভারতীয় তারকা মিক্সড ডাবলসে ৭-৬ (৭-২) ও ৬-২ গেমে হারেন ব্রাজিলের লুইসা স্তেফানি ও রাফায়েল মাতোস জুটির কাছে। ফাইনাল হারের পর আবেগ আর ধরে রাখতে পারেননি। কেননা এটাই গ্র্যান্ড স্ল্যাম ক্যারিয়ারে তার শেষ ম্যাচ ছিল। তাই

ক্যারিয়ারের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন ৩৬ বছর বয়সি এই টেনিস তারকা। তিনি বলেন, ‘আমি কাঁদছি। এটা আসলে খুশির অশ্রু। চোখের এই জল দুঃখের নয়। চাইলে আরও গোটা দুয়েক প্রতিযোগিতা খেলতেই পারতাম। ২০০৫ সালে মেলবোর্ন থেকেই টেনিস যাত্রা শুরু করেছিলাম। তখন আমার বয়স ছিল ১৮। সেরেনা উইলিয়ামসের সঙ্গে খেলেছিলাম। আমার জীবনে রড লেভার অ্যারেনার আলাদা জায়গা

রয়েছে। গ্র্যান্ড স্ল্যাম ক্যারিয়ার শেষ করার জন্য এর থেকে ভাল জায়গা আমার কাছে নেই। ’ফাইনালে সানিয়া মির্জার খেলা গ্যালারিতে বসেই উপভোগ করেছেন তার চার বছর বয়সি ছেলে। পরিবারের সকলেই ছিল, কিন্তু স্বামী শোয়েব মালিক বাদে। বর্তমানে রংপুর রাইডার্সের হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলছেন তিনি।

সানিয়া অবশ্য শোয়েবের ব্যাপারে কিছুই বলেননি, ‘আমার পরিবারের সকলে এখানে রয়েছে। কখনও ভাবিনি ছেলের সামনে গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেলতে পারব। সেটাও হল। ’২০০৫ সালে গ্র্যান্ড স্ল্যাম ক্যারিয়ার শুরু হয় সানিয়ার। ব্যক্তিগত ভাবে কোনো অর্জন না থাকলেও জুটি বেঁধে জিতেছেন একের পর এক শিরোপা।

নারীদের দ্বৈত বিভাগে একটি করে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, উইম্বলডন ও ইউএস ওপেন শিরোপা আছে তারা। মিশ্র দ্বৈত বিভাগে উইম্বলডন ছাড়া বাকি সব গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন একবার করে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে দুবাইয়ে অনুষ্ঠেয় ডব্লিউটিএ টুর্নামেন্টে শেষবারের মতো র‍্যাকেট হাতে নেবেন তিনি।