ফ্রান্সের পণ্য বয়কট করে নিজের দামী ঘড়ি ফেলে দিলেন নুসরাত

মহানবীকে (সা) বি’দ্রূ’প করে কার্টুন প্রকাশ ও এ ঘটনায় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ইসলামবি’দ্বে’ষী মন্তব্যের জেরে উ’ত্তাল মুসলিমবিশ্ব। দেশেদেশে ফরাসি পণ্য বয়কটের হি’ড়িক চলছে। বাংলাদেশের দেখা যাচ্ছে একই চিত্র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হ্যাশট্যাগ

বয়কট ফ্রান্স প্রোডাক্ট ট্রেন্ডিং চলছে। সেইপথ অনুসরণ করে এবার ফরাসি পণ্য বয়কটের ঘোষণা দিলেন হালের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। শুধু বয়কটই করেনি, নিজের ব্যবহৃত ফ্রান্সের তৈরি বিলাসবহুল কারটায়ার ঘড়িটিকেও ফেলে দিলেন। শনিবার ভোরের দিকে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে নুসরাত ফারিয়ে লিখেছেন, আমি আমা’র কারটায়ার

ঘড়িটি ফেলে দিয়েছি। হ্যাশট্যাগ বয়কট ফ্রান্স প্রোডাক্ট। নুসরাতের এই পোস্টের পর থেকে গত ৯ ঘণ্টায় ১৮ হাজারের বেশি লাইক জমা পড়েছে। কমেন্ট বক্সে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন নেটিজেনরা। অনেকের কাছে প্রশংসিত হচ্ছে বি’ষয়টি। প্রস’ঙ্গত, দুই বাংলায় নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন নুসরাত ফারিয়া। শুরুতে মডেলিং ও উপস্থাপনা দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু করেন নুসরাত ফারিয়ার। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌ’থ প্রযোজনার ছবি ‘আশিকী’র মাধ্যমে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু হয় ঢাকাই মডেল-উপস্থাপক নুসরাত ফারিয়ার। এরপর একে একে ‘বাদশা দ্য ডন’, ‘বস-টু’, ‘প্রেমী ও প্রেমী’, ‘হিরো ৪২০” ও ‘ধ্যাততেরিকি’সহ বেশ কয়েকটি ছবিতে অ’ভিনয় করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন=সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের যাদুকাটা নদীতে ঢলের পানিতে ভেসে আসা কয়লা কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত শ্রমিকরা নদীতে ভেসে আসা কয়লা সংগ্রহ করেন।যাদুকাটা নদী তীরবর্তী মাহারাম, বড়গোপ, লাউড়েরগড়, ঢালারপাড়, বিন্নাকুলি, ঘাগড়া, মাটিকাটা, মানিগাঁও, লাকমা, সুন্দরপাহাড়ি, রাজাই, চাঁনপুরসহ সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভপুর, ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ ও পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় এ কয়লা তোলা হয়।

রোববার (১ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরের যাদুকাটা নদীতে ঢলের পানিতে ভেসে আসা কয়লা কুড়াচ্ছেন অসংখ্য নারী-পুরুষ। প্রতিদিন সকালে নৌকা, কোদাল, ব্যালচা ও জাল নিয়ে নদীর তলদেশের বালু থেকে কয়লা আলাদা করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে সংসার চালান তারা।

একজন শ্রমিক প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বস্তা কয়লা সংগ্রহ করতে পারেন। যার স্থানীয় বাজার দর এক থেকে দেড় হাজার টাকা। নদী থেকে কয়লা উত্তোলন করার ফলে ব্যবসায়ী-শ্রমিক উভয়ের কর্মসংস্থান হয়েছে।এলাকার ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা কয়লা কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন। প্রতিদিন একজন নারী এক হাজার টাকা ও একজন পুরুষ দেড় হাজার টাকার কয়লা সংগ্রহ করতে পারেন বলে জানা গেছে।