পাবজি খেলতে গিয়ে গৃহবধূর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, এরপর

আলাপ পাবজি খেলতে গিয়ে। সেখান থেকে প্রেম এবং পরে শারীরিক সম্পর্কে উত্তরণ। এ বার সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন যুবক। তাঁকে ফাঁসানো হতে পারে ভবিষ্যতে, এই আশঙ্কার কথা শুনে যুবককে জামিনও দিয়েছে উচ্চ আদালত।

হাই কোর্টে আবেদনকারী বয়স বত্রিশের ওই যুবকের নাম কৃষ্ণ চৌরাসিয়া। বাড়ি ওড়িশার জলেশ্বরে। বেঙ্গালুরুতে একটি সফ্টওয়্যার সংস্থায় কাজ করেন তিনি। আদালতে করা আবেদনে কৃষ্ণ জানান, মোবাইলে পাবজি খেলতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা সিজা সাহার সঙ্গে পরিচয় ঘটে। সিজার বয়সও ৩২। ২০১৯ সালে অতিমারি পরিস্থিতির কারণে দেশে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরেই জলেশ্বরে নিজের বাড়িতে এসেছিলেন কৃষ্ণ। এর পর প্রথম বার সিজার সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

আদালতকে কৃষ্ণ জানান, প্রথম সাক্ষাতের পর থেকে সিজার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। তৈরি হয় প্রেমের সম্পর্ক। ধীরে ধীরে তা গড়ায় শারীরিক সম্পর্কে। কিন্তু কয়েক দিন আগে কৃষ্ণ জানতে পারেন, সিজা বিবাহিতা। তাঁর সাত বছরের সন্তানও রয়েছে। সিজার পরকীয়া সম্পর্কের কথা জানেন তাঁর স্বামীও।

সিজার বিবাহিত জীবন সম্পর্কে জানার পর থেকেই প্রণয়ের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চান কৃষ্ণ। যুবকের অভিযোগ, এর পর থেকেই কৃষ্ণের বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে শুরু করেছেন সিজার স্বামী। কৃষ্ণ আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের হতে পারে। প্ররোচনা, চক্রান্ত থেকে বাঁচতেই আগাম জামিনের আবেদন জানান তিনি। তাঁর আইনজীবী নভোনীল দে বলেন,

‘‘আমার মক্কেলের থেকে অনেক টাকা হাতিয়েছেন ওই মহিলা। আগামী দিনে কৃষ্ণ কোনও চক্রান্তের শিকার যাতে না-হন, সেই কারণেই হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করা হল।’’কৃষ্ণের এই আবেদনের ভিত্তিতে বুধবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দেরের ডিভিশন বেঞ্চ আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে। সুত্র; আনন্দবাজার।