পরী আমার সন্তানের মা, সে কারণে চুপচাপ আছি: রাজ

দাম্পত্য জীবন নিয়ে সরব চিত্রনায়িকা পরীমনি। ফেসবুকে দিয়েছেন বিচ্ছেদের খবর। সর্বশেষ রবিবার বিকেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন এই নায়িকা। অভিযোগও তুলেছেন বিস্তর। তবে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে শুরু থেকেই চুপ ছিলেন পরীর দাম্পত্য সঙ্গী ও চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ। বিচ্ছেদ নিয়ে পরীর বিস্তারিত কারণ ব্যাখ্যার একদিন পর এবার মুখ খুললেন রাজ। জানিয়েছেন,‘আমি তাকে সম্মান করি। আমার সন্তানের মা সে। সে কারণে চুপচাপ আছি।’তবে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কেও আভাস দিলেন রাজ। সেই সঙ্গে পরীর অভিযোগের প্রেক্ষিতেও দিলেন জবাব। ফেসবুক স্ট্যাটাসে পরী জানিয়েছিলেন, রাজকে তার জীবন থেকে ছুটি দিয়েছেন!

সোমবার এ বিষয়ে রাজ বললেন,‘আমি সরকারি চাকরি করি না। আমাকে ছুটি দেওয়ার কিছু নেই।’ শিগগির আইনজীবীর সঙ্গে বসে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন জানিয়ে রাজ বলেন,‘আমরা দ্রুতই আইনজীবীর সঙ্গে বসব। বসে যত দ্রুত সম্ভব অফিশিয়ালি সিদ্ধান্ত নিবো। সন্তান কার কাছে থাকবে এ ব্যাপারে যে আইনি পরামর্শ দেবে সেটাই মেনে নেব।’রাজ বলেন,‘আমি অনেক সহ্য করেছি। খুব ক্লান্ত লাগছে এসব দেখতে। ঘরের মধ্যে কিছু হবে আর সেটা ফেসবুকে চলে যাবে এটা নিয়মিত হতে পারে না! আমার তো বাইরে কাজ করতে হয়। এভাবে চলতে থাকলে জীবন চালানো অসম্ভব।’

সবকিছু নিয়ে বিরক্ত রাজ আরও বলেন,‘আমি তাকে সম্মান করি। আমার সন্তানের মা সে। সে কারণে চুপচাপ আছি। পরীর প্রতি ভালোবাসা আছে বলেই কিছু বলতে চাই না। আমি একজন অভিনয়শিল্পী অভিনয়ের বাইরে এসব নিয়ে কেন চিন্তা করতে হবে।’হতাশা প্রকাশ করে রাজ বলেন,‘আমার বেডরুমে কী হয় তা সবার জানার কথা নয়। কিন্তু এখন আমার বেডরুম ‘টক অব দ্য টাউন’-এ পরিণত হয়েছে। আমার বেডরুম নিয়ে সবাই মজা নিচ্ছে। এটা হতে পারে না।’

২০২১ সালে ‘গুণিন’ ছবির শুটিংয়ের সময় প্রেমের সম্পর্কে জড়ান পরীমনি ও শরিফুল রাজ। ওই বছর ১৭ অক্টোবর চুপিসারে বিয়ে করেন তারা। গেল বছরের জানুয়ারিতে তাদের পারিবারিক বিয়ের সংবর্ধনা আয়োজন করা হয়েছিল। একই বছরের ১০ আগস্ট রাজ-পরীর সংসারে আসে পুত্রসন্তান রাজ্য। বর্তমানে তার বয়স পাঁচ মাস।এদিকে, রাজের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়টি দুদিন আগে প্রকাশ্যে আনেন পরী। রবিবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে এ বিষয়ে তিনি জানান, শত চেষ্টা করেও তিনি বৈবাহিক সম্পর্ক টেকাতে পারলেন না।

রাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে পরীমনি বলেন, আমি জোর দিয়ে বলতে পারি আমাদের এই সম্পর্ক এতদিন আমার এফোর্টে (চেষ্টা) টিকে ছিল শুধু। কিন্তু বারবার গায়ে হাত তোলা পর্যায়ে পৌঁছালে কোন সম্পর্কই আর সম্পর্ক থাকে না। শ্রেফ বিষ্ঠা হয়ে যায়।সন্তানের কথা উল্লেখ করে পরী বলেন, রাজ্যের দিকে তাকিয়ে বারবার সব ভুলে যাই। সবঠিক করার জন্যে পড়ে থাকি। কিন্তু তাতে কি আসলেই আমার বাচ্চা ভালো থাকবে? না। একটা অসুস্থ সম্পর্ক এত কাছে থেকে দেখে দেখে ও (রাজ্য) বড় হতে পারে না। তাই আমি, রাজ্য এবং রাজের মঙ্গল এর জন্যেই আলাদা হয়ে গেলাম।