পরকীয়ার জেরে পল্লবীর আত্মহত্যা?

রোববার (১৫ মে) সকালে দক্ষিণ শহরতলির গড়ফার আবাসন থেকে পল্লবীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় বিছানার চাঁদর জড়ানো ছিল। দরজা ভেঙে ঢুকে ‘আমি সিরাজের বেগম’-এর ‘লুৎফা’র ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান বলে দাবি করেন পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তী। তারপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।কলকাতার গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, অনেকদিন ধরেই সাগ্নিক ও পল্লবী লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। কয়েক মাস হলো গড়ফার

ওই বাসায় তারা থাকছেন। দুজনের মধ্যে সম্পর্কও বেশ ভালো ছিল। প্রতিবেশীরা তেমনটাই জানিয়েছে পুলিশকে।তবে পল্লবীর বাবা নীলু দে-র অভিযোগ সাগ্নিকের দিকে। তার দাবি, পল্লবীর সঙ্গে সম্পর্কের আগে বিবাহিত ছিলেন সাগ্নিক। সেই তথ্য পল্লবী অনেক পরে জেনেছেন। শুধু তাই নয়, পল্লবীর সঙ্গে লিভ-ইনে থাকাকালীনও একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন সাগ্নিক।নীলু দে-র অভিযোগ, লিভ-ইন সম্পর্কে থাকাকালীন পল্লবীরই এক বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সাগ্নিক। অভিনেত্রীর

অনুপস্থিতিতে সেই বান্ধবী গড়ফার ওই বাসায় যাতায়াতও করতেন। বিষয়টি টের পেয়ে যান পল্লবী। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এমনকি পল্লবীর গায়েও নাকি হাত তুলেছিলেন সাগ্নিক।যদিও পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক নিজের দাবিতে অনড়। রোববার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদে সাগ্নিক দাবি করেন, একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন।

শনিবার রাতে (পল্লবীর মরদেহ উদ্ধারের আগেরদিন রাতে) পল্লবীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। রোববার সকালেও ঝগড়া চলেছিল। সেই পরিস্থিতিতে ধূমপান করতে বাইরে বেরিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে দেখেন ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করা।