নেই কোনো সনদ, তবু তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

শিক্ষাগত যোগ্যতার দৌড় মাত্র এসএসসি পাশ। তবু তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। নানা রোগের ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন প্রতিদিন। আবার কেউ হাসপাতালের পরিচালক ও চিকিৎসক বলে গেলেও নেই কোনো সনদ। রাজধানীর মোহাম্মদপুর-শ্যামলী এলাকায় তিনটি হাসপাতালের অভিযান চালিয়ে এমনসব ভয়াবহ অনিয়ম পেয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে। এসব অপরাধে দুই ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড ও দুটি হাসপাতালকে সিলগালাও করা হয়েছে।

অভিযানের শুরুতেই মক্কা-মদিনা হাসপাতালে যান ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানকার পরিচালক নূর নবীকে একজন ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে চিহ্নিত করে র‌্যাব।চিকিৎসা প্রদানের কোনো অনুমোতি বা সদন না থাকলেও দিব্যি রোগী দেখছেন তিনি, দিচ্ছিলেন ব্যবস্থাপত্রও। মোহাম্মদপুর এলাকায় নুরজাহান অর্থপেডিক্স হাসপাতালের একটি চক্র সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে এসে কম খরচে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার আশ্বাস দিত।

উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার কথা বললেও অপরিষ্কার ফ্লোরে রক্ত মাখা কাপড় ও ওয়ার্ড বয়কে দিয়ে অপারেশন করানো হতো এই হাসপাতালে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয় র‌্যাব।

ক্রিসেন্ট হাসপাতালের অনুমোদনের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে চার মাস আগে। পরিচালক হাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেনের পড়াশোনার দৌঁড় এইচএসসি পর্যন্ত। তারপরও তিনি হাসপাতালটির পরিচালক ও চিকিৎসক। আবুল হোসেনকে এক বছরের কারাদণ্ড ও হাসপাতালটিকে সতর্ক করে র‌্যাব। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলায় এই অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট।