নিজ বাসায় বিএনপির তিনবারের এমপির নিঃসঙ্গ মৃত্যু

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা মসিউর রহমান (ইন্না লিল্লাহি … রাজিউন) আর নেই। তিনি ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকার বাসায় অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, স্ট্রোকজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।।

৭৪ বছর বয়সী মসিউর স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক মেয়ে আছেন। তারা ঢাকায় থাকেন। তার স্ত্রী মাহবুবা রহমান শিখা একজন আয়কর আইনজীবী। এই দম্পতির বড় ছেলে ইব্রাহীম রহমান চিকিৎসক, ছোট ছেলে শোয়াইব রহমান আইনজীবী। মেয়ের নাম শামীম রহমান শিমু।

জানা গেছে, গত ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের পর থেকে তিনি বাড়িতে একা ছিলেন। নেতাকর্মীরা জানান, সোমবার বিকেলেই বুকে ব্যাথা উঠেছিল মসিউরের। একজন চিকিৎসককেও দেখিয়েছেন।

তার গাড়ি চালক নাজমুল হাসান বাঁধন জানান, সকাল ৮টার দিকে অসুস্থতার কথা জানিয়ে দ্রুত তাকে বাসায় যেতে ডাকেন বিএনপি নেতা। সাড়ে ৮টার দিকে তিনি শহরের গীতাঞ্জলী সড়কের বাসায় এসে ডাকাডাকি করতে থাকেন।

সাড়ে ১১টার দিকে মসিউরের ছোট ভাই আসাদুজ্জামান, প্রতিবেশী ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শেখর, পাপপু সাহা ও ম্যানেজার বকুল হোসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকেন। তখন দেখা যায় সোফায় পড়ে আছেন বিএনপি নেতা।

মসিউর রহমান বিএনপি গঠনের শুরু থেকেই দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। মসিউর রহমান ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কন্যাদহ গ্রামের মৃত মনির উদ্দিন বিশ্বাস ও মৃত সুলতানা নেছার ছেলে। ১৯৫৩ সালের ২৫ জুন কন্যাদহ গ্রামে মসিউর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।