নতুন কমিটিতেও গতি নেই বিএনপির,এবার আসছে কঠোর নির্দেশনা!

সিলেটে বিএনপির ১৮টি সাংগঠনিক কমিটিকে আরও গতিশীল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জেলার প্রতিটি সাংগঠনিক এলাকায় চষে বেড়াবেন সিলেট বিএনপির শীর্ষ নেতারা। আর উপজেলা ও পৌর বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্তদের যারা পদ পেয়ে দলীয় কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় তাদের প্রতি আসছে কঠোর নির্দেশনা। এ জন্য আগামি ৮ নভেম্বর সিলেট জেলা বিএনপি সভার আয়োজন করেছে।

সভায় জেলা বিএনপির দায়িত্বশীল ছাড়াও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সিলেটের ১৩ উপজেলা ও ৫ পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়কদের। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গেল ১লা মার্চ সিলেট জেলা বিএনপির আওতাধীন ১৮টি সাংগঠনিক কমিটি গঠন করা হয়। একজনকে আহবায়ক ও ২০ জনকে সদস্য করে মোট ২১ সদস্যের প্রতিটি কমিটি ঘোষণা করে জেলা বিএনপি।

কিন্তু গঠিত এসব কমিটিতে জেলা বিএনপির আহবায়ক তাঁর নিজেদের লোক বেশি জায়গা করে দিয়েছেন এমন অভিযোগ আনে জেলার একটি অংশ। পরবর্তীতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর জেলা বিএনপির বিবাদমান দুই গ্রুপের বিরোধ মেঠাতে উপজেলা ও পৌর কমিটিতে আরো ৬ জন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সবমিলিয়ে এসব কমিটিতে স্থান হয় মোট ২৭ জন নেতার।

কিন্তু দায়িত্ব পেয়েও বেশিরভাগ কমিটির নেতারা দলীয় কার্যক্রম শুরু করেন নি। শুধু মাত্র দক্ষিণ সুরমা ও গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপি তাদের ইউনিয়ন কমিটি গঠন করেছে। আর সদর উপজেলা বিএনপির ইউনিয়ন কমিটি প্রায় চূড়ান্ত বলে জানা গেছে। অপরদিকে কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলা শাখা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদারের উপস্থিতে সভা করলেও ইউনিয়ন কমিটি এখনো গঠন করতে পারেনি।বিএনপির একটি সূত্র জানায়, বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা ভিন্ন ভিন্ন মতের থাকায় কোন সভা করতে পারছে না। আর কোন কোন জায়গায় কমিটিতে আহ্বায়কের নিজের পছন্দের লোক কম থাকায় তিনিও সভা ডাকতে বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এতে সিলেটের তৃণমূল বিএনপি সহসাই চাঙ্গা হচ্ছে না।

এমন পরিস্থিতিতে সভা আহ্বান করেছে জেলা বিএনপি। সভায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নিষ্ক্রিয়দের কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানা গেছে। ৮ নভেম্বর সভায় জেলার নেতাদের দিয়ে সাংগঠনিক টিম গঠন করে দেয়ার কথাও রয়েছে। দলকে মাঠ পর্যায়ে আরো চাঙ্গা করতে টিমের দায়িত্বপ্রাপ্তরা চষে বেড়াবেন সিলেটের গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে।

দলের মধ্যে সঠিক নেতৃত্ব বাছাই করা হবে তাদের কাজ। এসব বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার বলেন, মূলত এই সভা ডাকা হয়েছে দলকে মাঠ পর্যায়ে আরো শক্তিশালী করতে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসব কমিটির আহবায়ক এখনো সভা করেননি তাদেরকে দ্রুত সভা আহ্বানের নির্দেশনা দেয়া হবে।